• ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৮শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সুনামগঞ্জের তেঘরিয়া গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়ে অপহরণ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুলাই ১৫, ২০১৫
সুনামগঞ্জের তেঘরিয়া গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়ে অপহরণ

স্টাফ রিপোর্ট :- তেঘরিয়া গ্রাম নিবাসী লাকি রানী দাশ পান্না (৩০) নামে এক যুবতী মেয়েকে অপহরণ করেছে কামরুল ও জহির মিয়া নামের দুই বখাটে । অপহরণ কারীর পিতা ভুপেন্দ্র কুমার দাশ মানিক সাথে সাথে থানায় জিডি করেন ।
জানা যায়, পান্না রানী দাশ বিবাহের কেনাকাটা করতে সুনামগঞ্জ শহরে আসেন উৎপেতে থাকা বখাটে কামরুল ও জহির উদ্দিন একটি সিএনজি যোগে এসে পান্নাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শিরা ঘটনাটি দেখার পর তাৎক্ষনিক সময়েই পান্নার পরিবারকে জানানো হলে তার পিতা সংগে সংগে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। লাকি রানী দাশ পান্না অপহরণের ঘটনায় স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অভিভাবক মহলে আতন্কের সৃষ্টি হয়েছে সেই সাথে অপহরণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট পান্নাকে উদ্ধার সহ অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওত্বায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে জোর দাবী জানানো হয়েছে । উক্ত ঘটনায় অপহরণ কারীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।
উল্লেখ্য যে, গতকাল ১৪ জুলাই ২০১৫ মঙ্গলবার বিকেল অনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টায় তার বিবাহের টুকিটাকি কিছু বাজার করতে শহরে আসেন এবং স্হানীয় স্বর্নের দোকান থেকে বিবাহের জন্য তৈরি স্বর্নলংকার কালেক্ট করেন। তখন উনার সাথে ছিলেন উনারি দুই বান্ধবী লিপি রানী দাস ও দীপি রানী তালুকদার । তাদের ভাষ্য অনুযায়ী বখাটে কামরুল ও জহির উদ্দিন খুব দ্রুত একটি সিএনজি যোগে এসে আমাদের আঘাত করতে থাকে কোন কিছু বোঝার আগেই তারা পান্নাকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় পান্নার সাথে ছিল নগদ ১৫০০০ টাকা, বিবাহের জন্য তৈরি ৪ ভরি স্বর্ন সহ কিছু কাপড়। লিপি ও দীপি  মারাত্মক ভাবে আহত হলে তাদের স্হানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে সুনামগঞ্জ থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান। তবে খুব শিঘ্রই আসামীদের গ্রেফতার করতে পারবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।