• ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৮শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

চামেলীবাগবাসীর দূর্দশা  : ৫ বছরেও শীতকাল আসেনা শাহপরাণে

sylhetsurma.com
প্রকাশিত এপ্রিল ৩, ২০১৮
চামেলীবাগবাসীর দূর্দশা  : ৫ বছরেও শীতকাল আসেনা শাহপরাণে

আব্দুল হালিম :::
সিলেটের শাহপরান থানার চামেলীবাগ ব্রিজ নিয়ে টানা হেচড়া চলছে ৫ বছর ধরে। ৫ বছর আগে ব্রিজের অর্ধেক প্রতিস্থাপন করলেও এখন পর্যন্ত বাকী কাজ শুরু হয়নি। এলাকাবাসী কখনো নৌকা, কখনো বাশের সাকো দিয়ে যাতায়াত করছেন। ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে ব্রিজের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তৎকালীন সিটি করপোরেশন মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ভাগিনা যুবলীগ নেতা ইকবাল উদ্দিন আহমদ কালভার্টের টেন্ডার নেন।
উপজেলা এলজিইডি অফিসারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্রিজের টেন্ডার নেয় ইকবাল উদ্দিন আহমদের মালীকানাধীন ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইকবাল কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। প্রকল্পের মেয়াদ ১৫ মাস বেধে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ৫ বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি কাজ।
এ বিষয়ে ইকবাল উদ্দিন আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, বন্যা বৃষ্টির কারণে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। শীতকাল এলেই আবার কাজ শুরু করবো।’
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস (৪৫) বলেন, বার বার অনুরোধ – যোগাযোগ করার পরেও তারা কাজ শুরু করতে গড়িমসি করছে। এদিকে ব্রিজ না থাকায় আমাদের দুঃখের শেষ নেই। বাচ্চাদের স্কুলে যেতে হয় বাশের সাকো অথবা নৌকা দিয়ে। যা খুবই বিপদজ্জনক।
গত বছর সাকো ভেঙ্গে দূর্ঘটনার স্বীকার হয়েছিলো ৫ জন কোমলমতি শিক্ষার্থী।
শাহপরান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন জানান, এই ব্রিজের ওপার থেকে প্রায় ৪০/৫০ জন শিক্ষার্থী স্কুলে আসে যাদের বয়স ৫ থেকে ১২। ঝুকিপূর্ণ বাশের সাকো ব্যবহার করার ফলে তাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে আসতে হয় স্কুলে। যেকোনো সময় সাকো ভেঙ্গে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এমন নাজুক পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, নাকি সদিচ্ছার অভাব? ৫ বছরেও কী শীতকাল আসেনা? আর শীতকাল ছাড়া কি কাজ করা যায় না? নাকি এসবই জনগণের টাকায় পকেত ভর্তি করার টালবাহানা?