• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

চুনারুঘাটে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ২০, ২০১৬

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ::::: হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কালীশিরী গ্রামের মো. আলী মিয়ার কন্যা কালিশরী সরকারি জুনিয়র স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মোছা. জাহানারা আক্তারকে জিম্মি করে অজ্ঞাত ব্যক্তি ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পিতা মো. আলী মিয়া। জানা যায়, গত ২১ জুন মায়ের সাথে রাগ করে একই গ্রামের রমীজ আলীর স্ত্রী নূর বানু (৪০) এর কাছে চলে যায় জাহানারা। পরদিন নূর বানুর বাড়িতে খোঁজ নিয়ে আর জাহানারাকে পাওয়া যায়নি। সকল আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও জাহানারার কোন সন্ধান মিলেনি। মেয়ে নিখোঁজের খবর পেয়ে জাহানারার ওমান প্রবাসী পিতা মো. আলী মিয়া দেশে চলে আসেন। আলী মিয়া দেশে আসার পর ০১৭০৮৮৭৯২৮৬ নাম্বার থেকে আলী মিয়াকে ফোন করে তার মেয়েকে ফিরিয়ে দিবে বলে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আলী মিয়া এই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে মামলা করার ভয় দেখালে উল্টো মুক্তিপণের টাকা না দিলে তার মেয়েকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।
গত ৪ এপ্রিল ০২৯৬৪১৩৬৬ নাম্বার থেকে জাহানারা তার মাকে ফোন করে জানায়, নূর বানুর মেয়ে নাহিদা আক্তার (২০) বেড়ানোর কথা বলে জাহানারাকে ঢাকার একটি বাসায় রেখে চলে এসেছে। সেখানে তাকে ঝি এর কাজ করতে হচ্ছে। তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে মাকে মিনতিও করে সে। যে কলটি আসে জাহানারার মা মুঠোফোনে রেকর্ড করে রেখে দেন। মেয়ের ফোন পেয়ে আলী মিয়া নূর বানুর সাথে যোগাযোগ করলে নূর বানু এ ব্যাপারে কিছুই জানেনা বলে জানালে তিনি এলাকার মুরুব্বীয়ান ও চেয়ারম্যান মেম্বারের স্বরনাপন্ন হন।
এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার ও মুরুব্বীয়ানরা নূর বানুর কাছ থেকে জাহানারার কোন খোঁজ খবর না পেয়ে আলী মিয়াকে আইনের আশ্রয় গ্রহনের পরামর্শ দেন। পরামর্শ মতে আলী মিয়া নূর বানু ও তার মেয়ে নাহিদাকে অভিযুক্ত করে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।