• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দ্বিতীয় বিভাগীয় কমিশনার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট সিলেটকে হারিয়ে সুনামগঞ্জের ইতিহাস

প্রকাশিত আগস্ট ২৭, ২০১৬

66এই ম্যাচের আগে অনেক কথা, উত্তেজনা। সিলেট-সুনামগঞ্জ ম্যাচে যা আগে কখনো দেখেনি ফুটবল। অনেক আগে থেকেই এই দুই দলের ম্যাচ মানে ছিল শুধুই সিলেটের জয়। বিভাগীয় কমিশনার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট সুনামগঞ্জের আশার পালে এমন হাওয়া লাগালো যে, তাতে উড়ে গেল সেই সিলেট। ইতিহাসের পাতায় লেখা হলো এই প্রথম সিলেটকে হারিয়ে দিল সুনামগঞ্জ। তাও কি দুর্দান্তভাবে- প্রথমার্ধে ৩-১ এ এগিয়ে থাকার পর নির্ধারিত সময়ে ৩-৩। এরপর টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে সিলেটকে হারিয়ে ফাইনালে সুনামগঞ্জ।
মৌলভীবাজারের সাথে ম্যাচে নিজেদের দর্শকদের মন ভরাতে পারেনি সিলেট। প্রতিপক্ষের নান্দনিক ফুটবলের পাশে সেদিন স্বাগতিকরা ছিল একেবারে ছন্দহীন। সঙ্গে যুক্ত হয় অধিনায়কত্ব নিয়ে বিতর্কের ঝড়। দলের ভেতর-বাহির সামলে সেমিফাইনালে ভালো একাদশ নামায় সিলেটের টিম ম্যানেজম্যান্ট। পাঁচ বিদেশির সাথে আগের ম্যাচে একাদশে না থাকা অপু-শ্যামলকে নামানো হয় শুরুতে। ছন্দও ফিরে পেয়েছিল দল। তবে পাল্টা আক্রমণে হঠাৎ করে পিছিয়ে পড়ে লিয়াকত আলী চেরাগের সিলেট। এরপর ফুটবলের সকল সৌন্দর্য নিয়ে হাজির সেমিফাইনাল ম্যাচ। স্বাগতিক দল ম্যাচে ফিরে আসে ২২ মিনিটে। মাঝমাঠে দারুণ খেলতে থাকা অপু চৌধুরীর বাড়িয়ে দেয়া বল ধরে সিলেটকে ম্যাচে ফেরান ইকো। তবে ফিরে আসলে কি হবে, এই ম্যাচ যে ছিল সুনামগঞ্জের ইতিহাস গড়ার ম্যাচ। তাই প্রথমার্ধে তুলনামূলক ম্যাচের আধিপত্য নিয়ে আরো দুই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে সিলেট। ৪৩ মিনিটে বাঙ্গুরার গোলের পর পরের মিনিটেই দ্বিতীয়বারের মতো লক্ষ্যভেদ করেন সুহেল। তবে এই গোল দুটিতে সিলেটের রক্ষণভাগের বড় অবদান ছিল।
ম্যাচের নাটকীয়তা তখনো শেষ হয়নি। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি ভুল করা সিলেটের গোলরক্ষক সুহেলকে উঠিয়ে শামসুলকে নামানো হয়। ৩-১ এ পিছিয়ে থাকা সিলেট এই অর্ধে চেপে ধরে সুনামগঞ্জকে। দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে গতি বাড়ান মুন্না ও শ্যামল। দূর থেকে ভেসে আসা সব ক্রস আর মাইনাসে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় সুনামগঞ্জের ডিফেন্সকে। দ্বিতীয়ার্ধের ১৭ মিনিটে সেই প্রাচীর অবশ্য ভেঙ্গে ফেলে সিলেট। পরিকল্পিত এক আক্রমণ থেকে কিংসলে ব্যাক হিলে গোল করে ম্যাচে ফেরান সিলেটকে। আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে ম্যাচের শেষ দিকে সিলেটকে সমতায় ফেরান সেই কিংসলে।
এই গোলের পর ইনজুরি টাইমে জয়সূচক গোলটাও পেয়ে যাচ্ছিল সিলেট। ডান প্রান্ত থেকে মতিনের চমৎকার মাইনাসে ফাঁকা পোস্টে পা লাগাতে পারেন নি বদলি হিসেবে নামা রিপন। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৪ গোলে জিতে সিলেটকে প্রথমবারের মতো হারিয়ে দেয় সুনামগঞ্জ।