• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

খাদিজার বাঁচার সম্ভাবনা ৫ ভাগ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ৪, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার :::
সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার কুপিয়ে জখম করা কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের অবস্থা সংকটাপন্ন। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে অস্ত্রোপচার শেষে তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ৭২ ঘন্টা পরই খাদিজার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলা যাবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদিজার মাথায় অসংখ্য চাপাতির কোপের আঘাত রয়েছে। আঘাত রয়েছে দুই হাতেও। এ ধরনের রোগীদের বাঁচার সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ। স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের কনসালটেন্ট এবং হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট মেডিক্যাল ডিরেক্টর ড. মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, “নার্গিসের মাথায় অসংখ্য চাপাতির কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাকে এমনভাবে কোপানো হয়েছে যে, খুলি ভেদ করে ব্রেইন ইনজুরি হয়েছে। কোপানোর সময় হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করায় তার দুই হাতের রগ কেটে গেছে।”
সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট এমসি কলেজের পরীক্ষা হল থেকে বের হওয়ার পথে চাপাতি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে আহত করেন শাবিপ্রবির ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক বদরুল আলম। প্রথমে খাদিজাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক দফা অস্ত্রোপচার শেষে সোমবার রাতেই তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারির জ্যেষ্ঠ পরামর্শক রেজাউস সাত্তারের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। খাদিজাকে কোপানোর পর তাঁর সহপাঠীসহ স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে দেন। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। তিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সহ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান সৈয়দ হাসানুজ্জামান শ্যামল জানান, বদরুল এ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল মুন্সি জানান, হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছেন আটক বদরুল। খাদিজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েন থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি হামলা করেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।