• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে সিলেটে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো দুর্গোৎসব

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১১, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সিলেটে শান্তিপূর্ণভাবে  মঙ্গলবার শেষ হয়েছে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ঢাক-ঢোলের বাদ্যে মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে সিলেট নগরী চাঁদনীঘাটে সুরমা নদীতে একে একে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এ উপলক্ষে বিসর্জনস্থলের আশপাশ এলাকায় বসেছে মেলা। এরআগে সকাল থেকে মন্ডপে মন্ডপে চলে দশমী পূজা। চলে সিঁদুর খেলা। বিকেল থেকে চাঁদনীঘাটে ট্রাক চড়িয়ে নিয়ে আসা হয় নগরীর বিভিন্ন মন্ডপের প্রতিমা। রাত অবদি চলে বিসর্জন অনুষ্ঠান।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছিলেন। আর দেবী স্বর্গলোকে বিদায় নেয় ঘোটক (ঘোড়ায়) চড়ে।  বিজয়া দশমী উপলক্ষে সরকারি ছুটি ছিল। বিজয়া দশমীয় কর্মসূচির মধ্যে  পূজা আরম্ভ হয় সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে এবং পূজা সমাপণ ও দর্পণ বিসর্জন সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে। সকাল ১১টায় বিজয়া দশমীর বিহিত পূজা শেষে বিকেল থেকে শুরু হয় বিসর্জনের প্রস্তুতি। রাত ১০টা অবধি প্রতিমা বিসর্জন কর্মসূচি চলবে।
জানা যায়,  বিকেল বিসর্জন অনুষ্ঠানে সুরমার পাড়ে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বী হাজারো মানুষের ছিল ভীড়। সুরামার পাড়ে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃৃবন্দ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সারা দেশের সব পূজামন্ডপের ন্যায় সিলেটেও মহানবমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে এখানে আরতি প্রতিযোগিতা ও প্রসাদ বিতরণ হয়। প্রতিবারের মতো মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী ও মহানবমীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নারী-পুরুষ ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করেছেন।
এবার সিলেট বিভাগে প্রায় আড়াই হাজার পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে সিলেট জেলায় ৫৮৩ এবং সিলেট মহানগর এলাকায় ৬৩টি মন্ডপ ছিল। গত শুক্রবার ৭ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুর্গাপূজা উপলক্ষে নেয়া হয় সিলেটেও নিশ্চছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তেমন কোন ঘটনা ছাড়াই সিলেটে এবার শান্তিপূর্ণভাবে এই উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।