• ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ইউরোপ পাঠানোর নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ৩০, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার
ইউরোপে পাঠানোর নামে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাত ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে সিলেট নগরী থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিলেট মানবপ্রাচার ট্রাইব্যুানালে দায়ের করা একটি মামলার প্রোক্ষিতে সুহেল শিকদার (৪০) ও জুবায়ের চৌধুরী (২৬) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে কতোয়ালি থানা পুলিশ। এদের মধ্যে সোহেল শিকদার নগরীর ধোপাদিঘীর পাড়ের আল হারামাইন ট্র্যাভেলস এন্ড ট্যুরের সত্ত্বাধিকারী এবং জুবায়ের চৌধুরী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক। জানা যায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিন সুরমার আলমপুরের মৃত আখলু মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান সিলেট মানবপাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন (মামলা নং-১)। মামলায় গ্রেপ্তারকৃত দু’জন ছাড়াও মোগলাবাজার থানার হবিনন্দী গ্রামের মৃত মল্লিক মিয়ার ছেলে সায়েল আহমদ, তার ভাই আব্দুস সালাম উজ্জ্বল ও গোয়াইনঘাটের জাহেদ হাসানকে অভিযুক্ত করা হয়। এই তিনজন ট্যাভেলস মালিক সুহেল শিকদারের সহযোগী বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে। আদালতে দেওয়া আবেদনে আব্দুল মান্নান উল্লেখ করেন, তার ছোট ভাই মুমিনুল হককে স্লোভানিয়া পাঠানোর কথা বলে গত বছরের  ২৭ ডিসেম্বর  আল হারামাইন ট্র্যাভেলস এন্ড ট্যুরের সত্ত্বাধিকারী সুহেল শিকদার ১৪ লাখ টাকা নেন। তিনশ’ টাকার স্ট্যাম্পে এ ব্যাপারে চুক্তিনামাও করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে মুমিনুল হককে স্লোভানিয়া পাঠাতে ব্যর্থ হন সুহেল। এরপর তিনি টাকা ফেরত না দিয়ে মুমিনুলকে রাশিয়া হয়ে ফিনল্যান্ড পাঠানোর আশ্বাস দেন। সে আশ্বাস মতে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া পাঠানোর কথা বলে মুমিনুলকে ঢাকা নিয়ে যায় আসামীরা।  এরপর থেকে ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না জানিয়ে আব্দুল মান্নান এজাহারে উল্লেখ করেন, আমি আমার ভাই ও টাকা ফিরিয়ে দেতওয়ার চাপ দিলে আসামীরা ৩ ও ৫ লাখ টাকার দুটি চেক প্রদান করে। কিন্তু তাদের ব্যাংক একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকগুলো প্রত্যাখ্যাত হয়।  এরপর ‘আসামীরা আমার ভাইকে ফেরত দিতে আরো ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অন্যথায় ভাইকে খুন করার হুমকি দেয়।’- এজাহারে এমনটি উল্লেখ করেন আব্দুল মান্নান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কতোয়ালি থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত সুহেল শিকদার ও জুবায়ের চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এবাদউল্লাহ।