• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জাহানারার অশ্নীল ভিডিও প্রর্দশনকারী ইকবালের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১৪, ২০১৬

অশ্নীল ভিডিও প্রর্দশনের কারণে আতœহত্যার পথ বেছে নেন সিলেটের মধুবন ব্রেড ফ্যাক্টরির নারী শ্রমিক জাহানারা।  স্থানীয় প্রভাবশালী বখাটে ইকবালের করা অশ্নীল ভিডিও তার মায়ের কাছে পৌছালে সে আতœহত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক বখাটে ইকবালের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাহানারার পরিবার, এলাকাবাসি ও বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।  সোমবার শহরতলীর খাদিমপাড়া শাহপরাণ এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।  মানববন্ধন কর্মসূচিতে মৃত জাহানারার দুই সন্তান মনসুর (২) ও সামিয়া আক্তার (৪) তাদের বুকে লালকালি দিয়ে লিখে মা হত্যার বিচার দাবি করে। এ সময় মানববন্ধনে আগত সকলই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ও সোচ্ছার কন্ঠে জাহানারা হত্যাকারীর সর্বচ্চো শাস্তি দাবি করেন।  মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, শাহপরাণ খাদিম সিরাজনগরের মুরব্বি আব্দুল সিদ্দিক, আব্দুল জালাল, দেওয়ান খছরু, জামাল মিয়া, আবু বক্কর, নিহত জাহানারার বৃদ্ধা মা কমলা বিবি, সিলেট মদন মোহন কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিক, মহোন্ত, অনিক, মামুন, আব্দুর রহমান, রুবেল। সিলেট সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল, রুবেল, আকাশ, আল আমিন, শুভ, সামাজ, জামিল সহ প্রমূখ।  উল্লেখ্য, এসএমপি’র শাহপরাণ থানার সিরাজনগর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াবের মেয়ে নিহত জাহানারা বেগম (২২) একজন স্বামী পরিত্যাক্ত মহিলা। বিয়ের পর দ্বিতীয় ছেলে মনসুর জšে§র ৭ দিন আগে স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামী আব্দুর রব (৩০)। গত দুই বছরেও স্ত্রী ও সন্তানের কোন খবর নেয়নি রব। জীবন জীবিকা ও সন্তানদের লালন পালনের জন্য জাহানারা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে চাকুরী নেন সিলেট নগরীর খাদিমপাড়াস্থ মধুবন ফ্যাক্টরিতে। সেখানে চাকুরী নেয়ার পর প্রতিনিয়ত যাতায়াতের সময় তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিত সিরাজনগরের সিরাজের ভাতিজা বখাটে ইকবাল। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়। ইকবাল প্রভাবশালি হওয়ায় নানা মাধ্যমে জাহানারাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং রাজি না হলে বাচ্চাদের মেরে ফেলার হুমকীও প্রদান করে। এসকল হুমকী ও অব্যাহত চাপের কারণে এক পর্যায়ে রাজি হয়েযান জাহানারা। যার ফলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গড়ে তুলে অনৈতিক সম্পর্ক। এক সময় সেই সর্ম্পকের সুবাদে ফুসলিয়ে ধারণ করে অশ্নীল ভিডিও।  সেই ভিডিও ক্লিপটি নিহত জাহানারার ছোটভাই আনোয়ারকে মোবাইলে শেয়ারইটের মাধ্যমে মোবাইলে প্রেরণ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। আনোয়ার ঘরে গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানানোর সময় তা শুনে লজ্জায় আত্মহত্যা করেন জাহানারা। তার মৃত্যুর পর ইকবালের পক্ষের লোকজন জানাযা পড়তে ও খবর দিতেও বাঁধা প্রদান করে। আত্মহত্যার পরদিন ২৮ অক্টোবর এসএমপি’র শাহপরাণ থানায় ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নং ১৭ দায়ের করেন নিহতের বৃদ্ধা মা কমলা বিবি এবং গত শনিবার (১২ নভেম্বর) বখাটে ইকবালকে আটক করে পুলিশ। -বিজ্ঞপ্তি