• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

৪ সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২৯, ২০১৬

কানাইঘাট সংবাদদাতা :
কানাইঘাটে চার সন্তানের এক জননীকে স্বামী কর্তৃক ইনজেকশন পুশ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ স্ত্রীকে হত্যার সন্দেহে স্বামী মাওঃ সৈয়দ আহমদ (৩৫) আটক করেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার উপজেলার সদর ইউপির নিজ চাউরা উত্তর গ্রামে। জানা যায়, সদর ইউপির নিজ চাউরা উত্তর গ্রামের মাওঃ সৈয়দ আহমদ প্রায়ই তার স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী দিলারা (২৮) কে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করত। পূর্বে সে আরো দু’টি বিয়ে করেছে। পারিবারিক মনোমালিন্যের ঘটনা নিয়ে প্রায়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো। পুলিশের হাতে আটক সৈয়দ আহমদের অভিযোগ তার স্ত্রী দিলারা বেগম সব সময় অসুস্থ থাকত। গত রবিবার তাকে ডাক্তারের কাছে সে নিয়ে আসে। ডাক্তার ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ সহ ইনজেকশন লিখে দিলে সে কানাইঘাট বাজারের একটি ফার্মেসী থেকে ইনজেকশনটি কিনে নিয়ে গতকাল সোমবার বিকেল অনুমান সাড়ে ৪টার দিকে স্ত্রী দিলারা বেগমের কোমরে নিজে সিরিঞ্জ দিয়ে পুশ করে। ইনজেকশন মারার পর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে সাথে সাথে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ডাক্তার না হয়ে ইনজেকশন কেন স্ত্রীর শরীরের পুশ করলেন, সৈয়দ আহমদের কাছে জানতে চাইলে সে বলে মাঝে মধ্যে সে নিজে ইনজেকশন পুশ করত। এ ব্যাপারে কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানা যায় গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে দিলারা বেগমকে জরুরী বিভাগে তার স্বামী সৈয়দ আহমদ নিয়ে আসেন। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই দিলারা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। ইনজেকশন প্রয়োগের কারনে তার মৃত্যু হতে পার কি না জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসকের সাথে কথা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে চাননি। স্বামীর ইনজেকশন পুশ দিয়ে স্ত্রী হত্যার সংবাদ পেয়ে কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান এবং নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য সিওমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। অপরদিকে রহস্যজনক ভাবে ইনজেকশন প্রয়োগে মৃত্যুবরণকারী দিলারা বেগমের আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, তার স্বামী সৈয়দ আহমদ প্রায়ই তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করত। সে পূর্বে দু’টি বিয়ে করেছে। ইনজেকশন প্রয়োগ করে মেয়েকে স্বামী হত্যা করেছে বলে নিহতের মা জাহিদা বেগম জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কি কারনে দিলারা বেগমের মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে, তবে তার স্বামী সৈয়দ আহমদকে স্ত্রীর শরীরে ইনজেকশন পুশ করেছে স্বীকার করেছে। তাকে আটক করা হয়েছে। ওসি স্যার সিলেট প্রশাসনিক কাজে থাকায় তিনি থানায় আসার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।