• ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

মাদকবিরোধী অভিযানে সাংসদরাও বাদ যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত জুলাই ১৭, ২০১৮
মাদকবিরোধী অভিযানে সাংসদরাও বাদ যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট সুরমা ডেস্ক : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা বা মাদকের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

পাঁচটি গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক তৈরি করা মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা কমন পড়ছে তাদের ধরা হচ্ছে। অপেক্ষা করুন। সাংসদরাও বাদ যাবে না।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা বা মাদকের সাথে জড়িত থাকায় দুই শতাধিক মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? -সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ও মাদক ব্যবসার সাথে পুলিশের যেসব সদস্যের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। প্রমাণের ভিত্তিতে সাসপেন্ড হচ্ছেন। ইতোমধ্যে ২/৩ জনকে কারান্তরীণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের আইন অনুযায়ী বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। সেখানে পুলিশ সদস্যরাও বাদ যাবেন না। তবে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যাতে সাজা না পান সে জন্য সময় লাগছে। বিভাগীয় তদন্তও চলছে। তদন্তে মাদকে জড়িত থাকার বিষয় প্রমাণ মিললে ছাড় দেয়া হবে না। মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। এ যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। সে জন্য সকলের সহযোগিতা দরকার।

‘গুম’ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো গুম বা বিচারবহির্ভূত হত্যা হচ্ছে না। আমরা কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যা করি না। আর গুমের যে ঘটনাগুলো বলা হচ্ছে, সেগুলো আসলে গুম না। আমরা তাদের ধরে সামনে আনছি, দেখা যাচ্ছে প্রেম করে অথবা ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে উড়াল দিচ্ছে, আর বলা হচ্ছে গুম। এমন গুম হওয়াদের বের করবেন কী করে? অধিকাংশ গুমই এ রকম।

কক্সবাজারের একরাম হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্যরা কক্সবাজারে গিয়ে একরামের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে, অপরাধ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, যে অন্যায় করবে তার বিচার হতেই হবে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। অভিযোগ ওঠার পর তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত যাতে নির্ভুল হয় সেজন্য সময়ক্ষেপন হচ্ছে। এ কথা বলতে পারি, তদন্তের রুট অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা ও প্রয়োজনে যদি বিচারিক ব্যবস্থারও প্রয়োজন হয় খুব শিগগিরি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে জোর গলায় বলতে পারি, কোউকে ছাড় দিচ্ছি না।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো পুলিশ যায় না। যখনই বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ চায়, তখনই যায়। উপাচার্যের বাড়িতে যে ঘটনা হয়েছে, তা খুবই লজ্জাজনক। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর ও মানহানি করে যাঁরা বক্তব্য দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারকে (এনটিএমসি) নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।