• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ, জব্দ তালিকা দাখিল

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২৩, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে কোপানোর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার একমাত্র আসামী ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে গতকাল রোববার সকালে সাড়ে ১০ সিলেট অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আমালী-৩) উম্মে সরাবন তহুরার আদালতে হাজির করে জব্দ তালিকা দাখিল করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ হারুনুর রশীদ। আদালতের কার্যক্রমের পর বেলা আড়াইটার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আদালত আগামী ১৫ নভেম্বর মামলার পরবর্তী ধায্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন। আদালতের জিআরও সূত্র জানায়, গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আসামী বদরুল আলমকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সিলেট অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আমালী-৩) আদালতে আনা হয়। গতকাল ছিল এ মামলার ধায্য তারিখ। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ হারুনুর রশীদ প্রতিবেদনের মাধ্যমে অত্র মামলা সংক্রান্তে একটি জব্দ তালিকা আদালতে দাখিল করেন। আদালত আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মামলার আইওকে মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন তাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, আদালতে হাজিরা শেষে বদরুলকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। খাদিজাকে কোপানোর ওই মামলায় চার্জশিট স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দাখিল করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বদরুলকে নিজেদের জিম্মায় নেয় শাহপরাণ থানা পুলিশ। পরে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সে হত্যার উদ্দেশ্যে খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কোপায় বলে দায় স্বীকার করে নেয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে (২২) চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম (২৪)। এ ঘটনায় পরদিন খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৮। খাদিজা বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।