• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভূমিহীনের সম্পত্তি আত্মসাত : অসহায় দম্পত্তিকে মারপিট

প্রকাশিত এপ্রিল ১০, ২০১৭

কানাইঘাট প্রতিনিধি::::

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় এক ভূমিহীনের সম্পত্তি আত্মসাত । ভূূমিহীন দম্পত্তি ও শিশুর উপর হামলা করেছে একটি ভূমি খেকো চক্র। হামলা ও অত্যাচারের ঘটনায় সিলেটের আদালতে মামলা দায়ের করনে ফাতির আলী । আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য কানাইঘাট থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন। ফাতির আলী বলেন, কানাইঘাট থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উৎকোচের বিনিময়ে তদন্ত প্রতিবেদনটি আসামির পক্ষে সাফাই গেয়ে আদালতে দাখিল করেন। ভূমিহীন দম্পত্তি উপজেলার মির্জার গড় গ্রামের মৃত ছমেদ আলীর ছেলে ফাতির আলী তার স্ত্রী ও শিশূকে প্রাণে হত্যার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে কানাইঘাট উপজেলার মির্জার গড় গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে আ.ছামাদ, ফয়জুর রহমানের ছেলে তাজুল, মস্তফা, সোনাফর আলীর ছেলে বশির, হোছন, মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে জুনেদ সহ তাদের সঙ্গীয়রা। মামলা সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলার মির্জাগড় গ্রামের মৃত ছমেদ আলীর ছেলে ফাতির আলী তার স্ত্রী শিশু সন্তান নিয়ে ভূমিহীন হিসেবে বিভিন্ন বাড়িতে থেকে , কোনমতে দিন মজুরের কাজ করে তার জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। যার ফলে ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর উপজেলার ৯ নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফাতির আলীকে ভূমিহীন দরিদ্র চাষি হিসেবে প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার যোগ্য হিসেবে ভূমিহীন সনদপত্র প্রদান করেন। এর ফলে মির্জাগড় গ্রামের শফিকুর রহমানের কাছে থাকা সরকারী ভূমি মির্জাগড় মৌজার, ৮৯ নং জেএল, ডিপি ১নং খতিয়ানের, ৯৭ নং দাগ ও বিএস দাগ ২৯৫ এর রকম লায়েক পতিত ১১ শতক ভূমি সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে হস্তান্তর করা হয়। সেই ভূমিতে স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে বিত্তবানদের কাছ থেকে সাহায্য তুলে ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন ফাতির আলী। কিন্তু সেই ভূমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ভূমি খেকো চক্রের । যার ফলে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারী সরকারী ঐ ভূমি দখলের জন্য হামলা চালায় ছামাদ, তাজুল, মুস্তফা, বশির, হোছন, জুনেদ সহ তাদের সঙ্গীয়রা। বসত ঘর ভাংচুর করে ঘরের টিন সহ যাবতীয় আসবাবপত্র নিয়ে যায় ঐ চক্র। তাছাড়াও সরকারী ঐ ভূমির উপর থাকা নানা জাতের গাছ ও গাছের চারা কেটে প্রায় ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়। এ সময় তাদের হামলায় ফাতির আলী আহত হয়ে কানাইঘাট উপজেলা কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেন এবং সুস্থ হয়ে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কানাইঘাট সি আর মামলা নং ২৬/১৭ ইং দাখিল করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য কানাইঘাট থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রবিউল ইসলাম ৬ ফেব্রুয়ারী আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তিনি তদন্ত প্রতিবেদনে ভূমি খেকো চক্রের পক্ষে সাফাই গেয়ে ও ২৮ জানুয়ারীর ঘটিত ঘটনা মিথ্যা বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। যাহা বর্তমানে আদালতে শুনানীর জন্য রয়েছে। এ ব্যাপারে ভূমিহীন ফাতির আলী জানান, তিনি বর্তমানে তার স্ত্রী ও কোলের সন্তানকে নিয়ে অনেক কষ্টে অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছেন। তার মাথা ঘোজার ঠাই সরকারী ভূমিটি তাকে মারপিট করে আত্মসাত করেছে ছামাদ, তাজুল, মুস্তফা, বশির, হোছন, জুনেদ সহ তাদের সঙ্গীয়রা। তিনি এ ব্যাপারে মামলা করলেও থানার এসআই রবিউল টাকার বিনিময়ে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তিনি বিচার চান।