• ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দক্ষিণ সুরমায় ‘তাজমহল’ কেলেংকারী : মৃত্যুর দুয়ারে ছাত্রলীগ নেতা শাহিন : ধরা ছোয়ার বাইরে বিএনপি নেতা কালাম

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২২, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্ট:: জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে ছাত্রলীগ এর কেন্দ্রিয় সদস্য শাহিনূর রহমান শাহিন। ঢাকার এ্যাপোলে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে তিনি। ঘটনার এমন নির্মমতার পরও তার সহযোদ্ধারা ফরমায়েসী মামলায় এখন আসামী। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও রাজপথের সু-পরিচিতি মুখ। অথচ সরকারে জাতির জনকের সংগঠন ও মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের শক্তি আ’লীগ।

সময়ের এমন বাস্তবতার পরও হামলা ও ফরমায়েসি মামলার নায়ক সুবিধাভোগী বিএনপি নেতা আবুল কালাম। একদিকে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফটরত ছাত্রলীগ নেতা শাহিন, অপরদিকে ফেরারী যুবলীগ, ছাত্রলীগ এর নেতৃত্ব স্থানীয় নেতারা। অথচ ঘটনার নায়ক এতোকিছুর পরও ধরাছোয়ার বাইরে। ক্ষুব্ধ যুবলীগ, ছাত্রলীগ এর একাধিক নেতারা জানান, টার্মিনালের ভেতরে ব্যক্তি স্বার্থে জমি লিজ দ্ওেয়া চরম দুর্নীতি, সেই জমিতে রেস্টুরেন্ট, তাও ব্যক্তি স্বার্থে, অথচ সার্বজনীনভাবে উম্মুক্ত থাকার কথা গোটা টার্মিনাল। লিজ গ্রহিতা সব কিছুর নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

তা না করে তাজমহল রেস্টুরেন্ট হয়ে গেছে কেলেংকারীর প্রতীক। যা এখন অপশক্তির ঘাটি হিসাবে পরিণত করা হয়েছে। তারা বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছি আমরা, ঘটনার শেষ অবশ্যই আমরা দেখবো, স্বাধীন বাংলাদেশ কদমতলী বাস টার্মিনালকে পাকিস্থান বানিয়ে রাখার সাধ্য কারো নেই। আমরা সমুচিত জবাব দিবো। বৈ-আইনী পরিবহন ধর্মঘট দিয়ে যারা পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও সাধারন মানুষদের জিম্মি করে, তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। একই সাথে যারা কথিত বিএনপি নেতা আবুল কালাম ্ও তার লুটেরা সহযোগিদের আশ্রয় প্রশয় দিচ্ছে তাদের ব্যাপারেও কঠোর হবো। টার্মিনাল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন থেকে লুটপাটের রাজত্ব প্রত্যক্ষ প্ররোক্ষ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন আবুল কালাম।

টার্মিনালের অভ্যন্তরে অপরাধের নানা রকম আস্তানা। গাড়ির প্রতি নিধার্রিত ফি আদায়ের বদলে অপরাধ আস্তানা থেকেই অর্থ আদায় তারা নেশা-পেশা। অবৈধ অর্থের বাগবাটোয়ারা দেন গোপনে সরকার দলীয় এক সুবধিাভোগী নেতা। গোপন একটি সূত্র জানায়, এনা কাউন্টারের ভেতরে অস্ত্র মুজদ করা হয়, কারন এই কাউন্টার এর মালিক সরকার দলীয় এক নেতা। সিসি ক্যামেরা সার্চ করলে প্রমান মিলবে বলে অনেকের ধারনা। এই স্থান থেকে অস্ত্র নিয়ে তা ব্যবহার করেই সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের উপর কৌশলে হামলা চালানো হয়। তারা মনে করেন ঘরের শক্র বিভিষন হয়ে বিএনপি নেতাকে আস্কারা দিয়েই বেপরোয়া করে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এমন যোগাযোগি সর্ম্পকে আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলেও পরিবহন সেক্টরের উপর কর্তৃত্ব বা নিয়ন্ত্রন নেই স্থানীয় সরকার দলীয়দের ব্যবসায়ীদের। পরিবহনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হাত ছাড়া থাকার কারনে, কদমতলী টার্মিনাল ভয়ংকর এলাকায় পরিনত হয়েছে। দূর্নাম ও নেতিবাচক ঘটনার বদনাম কিন্তু ঠিকই ঘাড়ে পড়ছে সরকার দলের উপর। যদি টার্মিনালকে মান সম্পন্ন ও নিরাপদ গাড়ি-যাত্রী বান্ধব করা যেত তাহলে সাধারন মানুষ পরিবর্তনের সুফলভোগ করতো, পক্ষান্তরে সরকারের উন্নয়ন ্জনসম্মুখে প্রচার ছাড়াই প্রসার হয়ে যেত। কিন্তু সংস্কার কাজ ঠিকই হচ্ছে, টাকাও ব্যয় হচ্ছে, তবে দৃশ্যমান উন্নয়ন এর সৌন্দর্য চোখে পড়ছে না। কারন শৃংখলা হীন এখানকার বাস্তবতা। লুটোদের স্বর্গরাজ্য টার্মিনালকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার দলীয় নিবেদিত নেতাকর্মীরা চেষ্টা করলেও বারবার তারা ঘরের ্ও বাইরের সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজদের মাধ্যমে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এই বাধার সর্বশেষ উদাহারন ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলা ্ও পরবর্তীতে ফরমায়েসী নাটকীয় মামলা। এহেন পরিস্থিতির অবসান করতে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আ্ওতায় নিযে আসার দাবী ভোক্তভোগী সহ সচেতন মহলের। যার মাধ্যমে নান্দনিক ও মানসম্পন্ন টার্মিনাল এর পরিচয় পরিচিতি পাবে কদমতলী বাস টার্মিনাল। এতে করে সরকারে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তথ্য সূত্র :::: ড্রীম সিলেট ডটকম,লিংক সংযুক্ত