• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

কলেজ ছাত্রী অপহরণের দায়ে সাংবাদিকসহ তিনজনের ৯ ও ৭ বছরের কারাদন্ড : আসামীরা পলাতক

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মে ৮, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে এক সাংবাদিকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ৯ বছর ও ৭ বছর স-শ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থ দন্ডের রায় প্রদান করেছেন আদালত। সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ তৌফিক এলাহী গতকাল এ রায় প্রদান করেন। রায়ে ৯ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন, ,দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের বেলায়েত মিয়ার পুত্র হেলাল আহমদ, ৭ বছরের দন্ড প্রাপ্ত হলেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি ইউনিয়নের লাউয়াই গ্রামের বাসিন্দা ও বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মন্নানের পুত্র ও দৈনিক শ্যামল সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার হোসেন মোহাম্মদ এমরান, একই উপজেলার বাবনা জিঞ্জির শাহ মাজার এলাকার বাসিন্দা নিয়াজ পাশার ছেলে কামরান পাশা। আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা গ্রেফতারী পরওয়ানা জারি করেছেন আদালত। আদালতের সেরেস্তাদার আবুল ফজল জানান, ০৯/০৩/২০১৫ ইং সালে দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী রোকশানা বেগমকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় তার পিতা মখলিছ আলী বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং(৭)২০১৫ইং। মামলায় তিনজনকে আসামী করা হয়। মামলার ২নং আসামী হোসেন মোহাম্মদ এমরানকে ১১/০৩/২০১৫ ইং তারিখে গ্রেফতার করা হলে সে ২ মাস কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে আসে । দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) খায়রুল ফজল জানান, অপহরণ মামলার দন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামীর বিরুদ্ধে সাজা পরওয়ানার কাগজ থানায় এসেছে। পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতারের জন্য চারিদিকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, অপহরণ মামলার ২নং আসামী হোসেন মোহাম্মদ এমরান ও তার ভাই ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একটি অস্ত্র মামলার রায়ে এমরানের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও তার ভাই ইমরান হোসেনকে ১০ বছরের বিনা শ্রম কারাদন্ড ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করা হয়। এ রায় ২৪/১১/২০১৫ ইং তারিখে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. বেলায়েত হোসেন প্রদান করেন। অস্ত্র মামলা নং-৫৪(০৬)১২, তারিখ ১২/০৬/২০১২ ইং। এ মামলার রায়ের পরদিন আসামী হোসেন মোহাম্মদ এমরান ও তার ভাই ইমরান হোসেন আত্মগোপনে রয়েছে।