• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মাদ্রাসা ছাত্র নাজিম অপহরণের সাথে জড়িত বাবুল-লোকমান চক্র

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২, ২০১৮
মাদ্রাসা ছাত্র নাজিম অপহরণের সাথে জড়িত বাবুল-লোকমান চক্র

সিলেট সুরমা ডেস্ক : বিয়ানীবাজারের শালেশ্বর গ্রামের প্রভাবশালী অপহরণকারী চক্রের কারণে এক মাদ্রাসা ছাত্র ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর বিপর্যয় নেমে এসেছে। তারা পরপর দুইবার ঐ মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণ করে কঠিন পরিশ্রমের কাজে নিয়োজিত রেখেছিল বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা সবুজ আহমদ। রবিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলণে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলণে সবুজ বলেন, অপহরণকারী চক্রটি পর পর দুইবার তার হিফজ পড়–য়া পুত্র নাজিম উদ্দিনকে (১৬) অপহরণ করে। দ্বিতীয়বার গত ১ জুন তাকে অপহরণ করার পর দীর্ঘ ৬ মাস পর নাজিম কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। সে গত ২৮ নভেম্বর বুধবার বাড়ি ফিরে এসেছে। নাজিম উদ্দিন ছোটবেলা থেকে বিয়ানীবাজারের আখাখাজানা রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় হিফজ শাখায় পড়ছে। মেধাবী এ ছাত্র গত ১ জুন বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। সে আর বাড়ি ফিরেনি। তিনি বলেন, একই গ্রামের বাবুল আহমদের পুত্র লোকমান আহমদ এবং তার সহযোগিরা নাজিমকে প্রায়ই নানাভাবে উত্যক্ত ও বিরক্ত করত। এসব বিষয়ে লোকমান আহমদের পিতা বাবুল আহমদের কাছে বিচার প্রার্থী হলে তিনি নানাভাবে হুমকি ধমকি দেন। এর আগে, তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা প্রায়ই নাজিমকে অপহরণের হুমকি দিতো। ২ জুন লোকমান আহমদের বাড়িতে গিয়ে আমার পুত্রের সন্ধান চাইলে তারা গালিগালাজ ও অপমান করে। আমি বুঝতে পারি নাজিম নিখোঁজের সাথে তাদের যোগসাজস রয়েছে। থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নিতে আপত্তি করলেও ২৪ জুন বিয়ানীবাজার থানায় একটি জিডি করি (নং ১০৪১)।
তিনি বলেন, ২৮ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল-একটি মামলা (নং ৩৮৯/২০১৮) দায়ের করি। মামলায় লোকমান আহমদকে প্রধান আসামী ও মৃত আকবর আলীর পুত্র বাবুল আহমদ এবং মৃত মাহতাব মিয়ার পুত্র শরিফকেও আসামী করি। আদালতের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, বাবুলের ছেলে লোকমানের সাথে নাজিমকে চলতে না দেওয়ার কারণেই এই অপহরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি বলেন, নাজিম ফিরে আাসর পর এই অপহরণ নাটকের সাথে শেওলা ই্য়নিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য হেলাল আহমদও জড়িত ছিলেন বলে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। নিখোঁজ অবস্থায় নাজিম একাধিকবার মোবাইলে হেলালের সাথে কথা বলেছে বলে জানিয়েছে। তারা নাজিমকে আটকে রেখে অমানবিক পরিশ্রমের কাজ করিয়েছে বলেও নাজিম উপস্থিত সাংবাদিকদের জানায়। এর আগে ২০১৫ সালে তারা নাজিমকে অপহরণ করেছিল এবং হেলাল আহমদের মাধ্যমেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। সবুজ মিয়া তার ধর্মভীরু মেধাবী কিশোর ছেলের সাথে যারা অন্যায় ও গর্হিত কাজ করেছে, পরিবারের সদস্যদের মানসিক কষ্ট দিয়েছে, নাজিমকে নির্যাতন করেছে তাদের ন্যায্য বিচার ও যথাযত ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সবুজ মিয়ার ভাই ও নাজিম উদ্দিনের চাচা মজিবুর রহমান, মো. নাজিম উদ্দিন, নাজিমের মা আফিয়া বেগম ও নাজিমের অপর চাচা মো. তাজ উদ্দিন।