• ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পছন্দের মেয়ে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় নিজের যৌনাঙ্গে কোপ দিল যুবক !

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৬, ২০১৯
পছন্দের মেয়ে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় নিজের যৌনাঙ্গে কোপ দিল যুবক !

সিলেট সুরমা ডেস্ক :: বিয়েবাড়িতে দেখেই পছ্ন্দ হয়ে গিয়েছিল, বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু, রাজি হননি তরুণীর পরিবারের লোকেরা। সেই দুঃখে নিজের যৌনাঙ্গে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারলেন এক যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গুপ্তিপাড়ায়। হঠাৎ করেই এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার ফলে প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসির মধ্যে।

সূত্রের খবর যুবকটির নাম সোমনাথ সাহা। পেশায় কি করেন তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে পরিবার সূত্রে খবর যে তেমন কিছু করেননা সোমনাথ বাবু। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, প্রায় একমাস আগে গুপ্তিপাড়ায় একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন সোমনাথ। ওখান থেকেই আসল ঘটনার সূত্রপাত বিয়েবাড়িতে এক তরুণীকে ভাল লাগে তাঁর। ফোন নম্বর আদানপ্রদান হয়।

তারপর বেশ কিছুদিন ধরে চলে কথাবার্তা। আসতে আসতে সেই তরুণীর প্রেমে পরতে শুরু করেন তিনি। সে কথা সোমনাথবাবু বাড়িতেও জানান। কিন্তু অন্যদিক থেকে তরুণী তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না।

সোমনাথবাবু পরে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন, জানিয়েছিলেন মেয়ের বাড়িতেও। কিন্তু ছেলের কথায় ওই তরুণীর পরিবারকে যখন বিয়ের প্রস্তাব দেন সোমনাথের বাড়ির লোকেরা, তখন রাজি হননি তাঁরা। উল্টে সাফ জানিয়ে দেন যে এই ছেলের কাছে তারা তাদের মেয়েকে ছেড়ে দিতে চাননা। পরিবারের লোকের দাবি, এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন সোমনাথ, খাওয়া দাওয়াও সেভাবে করছিলেন না। পরে মানসিকভাবে তিনি এতটাই ভেঙে পরেন যে রবিবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতে বসে যৌনাঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারতে থাকেন তিনি।

বাড়ির লোকের তা চোখে পরতে, গুরুতর আহত অবস্থায় সোমনাথকে প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। কিন্তু, শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। শেষপর্যন্ত সোমবার ভোরে সোমনাথ সাহাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন কালনা মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই জানিয়েছেন, ধারালো অস্ত্রের কোপে সোমনাথের মূত্রনালিতে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে, শারীরিক অবস্থা গুরুতর। তাই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।