• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গোয়াইনঘাটে ইউপি চেয়ারম্যান নেহাল সাময়িক বহিষ্কার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
গোয়াইনঘাটে ইউপি চেয়ারম্যান নেহাল সাময়িক বহিষ্কার

গোয়াইনঘাটে ইউপি চেয়ারম্যান নেহাল সাময়িক বহিষ্কার

সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেটের গোয়াইনঘাটের ৯নং ডৌবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ ইকবাল নেহালকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ। এলজিএসপির-৩ স্কীমের অনুমোদনের পূর্বেই ১২ লক্ষ ৩ হাজার টাকা আত্মসাতের দুর্নীতির প্রমাণ মেলায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

সোমবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি) সরকারের স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব ইফতেখার আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের ( নথি নং ৪৬.০০.৯১০০.০১৭.২৭০০.২.১৬.৬৪) মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় সিলেটের গোয়াইনঘাটের ডৌবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ ইকবাল নেহাল বিধি বহিঃর্ভুতভাবে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এলজি এসপি-৩ এর স্কীম অনুমোদনের পুর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব থেকে বিভিন্ন তারিখে ১২ লক্ষ ৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এ অপরাধ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোনে সমুচিন না হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে এর আগে ডৌবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ কর্তৃক সরকারের টি,আর,কাবিখা,কাবিটা,এলজি এসপি,বয়স্কভাতা,ভিজিডি উপকারভোগী ৯৫জন মহিলার ৯ মাসের ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা, ১৬-১৭ অর্থ বছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ইজিপি বরাদ্ধ ক্রমিক ৭০ হাতিরপাড়া মানিকগঞ্জ রাস্তার মুখ হইতে,রহা মাদ্রাসা হইতে বরইতলা গ্রামের রাস্তা নির্মাণ বাবদ ৪লক্ষ ৪০ হাজার টাকা এবং বরাদ্ধ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এসব দুর্নীতির কারণে চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন থেকে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন। তার অনিয়ম,দুর্নীতির কারণে পুরো ডৌবাড়ি ইউনিয়ন কার্যালয় অকার্যকর প্রতিষ্টানে রুপ নেয়। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের কারণে সম্প্রতি এই ইউনিয়নের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব ইফতেখার আহমদ চৌধুরী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এলজি এসপি-৩ এর স্কীম অনুমোদনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব থেকে তিনি বিভিন্ন তারিখে ১২ লক্ষ ৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এ অপরাধ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোনে সমুচিন না হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে সরকারের অন্যান্য খাতের টাকা আত্মসাৎ,অনিয়ম,দুর্নীতি,লুটপাটের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।