ফলিক খানকে ফাঁসানো সেই ৯৯ সালের অস্ত্র মামলার পুলিশ ইনচার্জ মোল্লা আলমগির শ্রীঘরে
ডেস্ক রিপোর্ট:: সিলেটের গোলাপগঞ্জে প্রায় ২০ বছর আগে সাজানো ১৯’এর (ক) ও (চ), ৭৯/২০০২ নং অস্ত্র মামলায় আসামী করে ফলিক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। পাল্টা সেই একই অস্ত্র-মামলায় এবার শ্রীঘরে গেছেন তখনকার চন্দরপুর-আছিরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোল্লা আলমগীর। গতকাল সোমবার ১১ ফেব্রুয়ারী সিলেট-জেলা দায়রা জজকোর্টে আত্মসমর্পণ করতে আসলে মাননীয় জেলা দায়রা জজ তাহার জামিন না-মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরন করেন।
প্রাক্তন পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের এই ইনচার্জ প্রায় ২০ বছর থেকেই পলাতক ছিলেন। উক্ত সাজানো মিথ্যে অস্ত্র মামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক “ফলিক খান” বিগত ৯৯ সালের ৭’ই জুন গ্রেপ্তার হয়ে সেইসময় ৩ মাস ১০ দিন বিনা অপরাধে জেল কেটেছিলেন। দুস্কৃতিকারীরা চাঞ্চল্যকর এই অস্ত্র-মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বিগত ২০টি বছর থেকে “ফলিক খান”কে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বারবার কারাবরণ করায়। কিন্তু “ফলিক খান” কখনো নতি স্বীকার করেননি। শেষপর্যন্ত বিগত ২৭ নভেম্বর ২০১৮ইং তারিখে যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক ফলিক খানকে গোলাপগঞ্জ থানার ও.সি শিবলী’র নেতৃত্বে আরো তিনটি ভুয়া মামলায় ফাঁসিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এই মামলাগুলার কারনেও ফলিক খান শেষ অবধি দীর্ঘ ১ মাস ৫দিন হাজতবাস করার পর বিগত ০১ জানুয়ারি মুক্তিলাভ করেন। ন্যায়বিচার পেয়ে “ফলিক খান” ও তার পরিবারের সদস্যগন বেজায় খুশি। আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে মামলাটির বিচারকার্য সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে “ফলিক খান” আশাবাদ ব্যক্ত করেন।