বিশেষ প্রতিনিধি ::: স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত অবহেলিত জনপদ হিসেবেই পরিচিত দক্ষিণ সুরমা উপজেলা। ১০ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ভেতরে এখনো কাঁচা রাস্তা বিদ্যমান। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা পানিতে ডুবে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। বিগত দিনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভোটের আগে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পরে মিলেনা তাদের খোঁজ। দক্ষিণ সুরমা কেন্দ্রীক সিলেট সিটি কর্পোরেশনের তিনটি ওয়ার্ড অবস্থান করার কারণে কর্পোরেশনের বিভিন্ন নাগরিক সূযোগ সুবিধা পান সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দারা। অপরদিকে ওয়ার্ডের বাইরে উপজেলাবাসী পাচ্ছেন না কোনো নাগরিক সূযোগ সুবিধা। এ ছাড়া সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ফেলা হয় লাল মাটিয়া পারাইরচক নামক স্থানে। যে স্থানে ময়লা আবজর্নার স্তুপ সেই স্থানটি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ভেতরে অবস্থিত । সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পাশে সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ফেলার কারণে দুষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করেন সাধারণ মানুষ। বর্জ্য শুধু যে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে তা নয়, সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকান্ডের ফলে ময়লার ভাগাড় দখল করেছে ঐতিহ্যবাহী ভাড়েরা বিল। যে বিলে ছিলো মাছের অভয়ারণ্য আর জলরাশী। বর্তমানে ভাড়েরা বিলের অস্থিত্ব নেই বললেই চলে। ভাড়েরা বিলের কুল ঘেষা বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ বিভিন্ন রোগে ভোগছেন। বর্ষা মৌসুমে সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য মানুষের বাসা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। প্রতি বছর এ যন্ত্রনায় অতিষ্ট এলাকার লোকজন। সিটি কর্পোরেশনের এসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজনকে নিয়ে যে মানুষটি প্রথম সামাজিক আন্দোলন শুরু করেন, সেই মানুষটিই হলেন আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শামীম কবীর। বই প্রতীকের প্রার্থী শামীম কবীর সিলেট বিভাগ আন্দোলন থেকে শুরু করে দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে ছিলেন সরব। যা এখনো চলমান রয়েছে। বর্তমান যুগে বেশির ভাগ নেতা নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য রাজনীতি করেন। এ দিক দিয়ে শামীম কবীর অর্থের পেছনে না ছুঠে ছুঠেছেন মানুষের কল্যাণের স্বার্থে। দক্ষিণ সুরমার উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহনকারী শামীম কবীর ৬ ভাই ৩ বোনের মধ্যে সবার বড়। শামীম কবীরের পিতা মো. মখন মিয়া কুচাই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের স্বনামধন্য সাবেক মেম্মার । পিতার আদর্শ ও সাধারণ মানুষের অনুপ্রেরণায় তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এ পর্যন্ত ৮ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহন করলেও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু মোগলাবাজার ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে কুচাই ইউনিয়ন এলাকা থেকে একক প্রার্থী হিসেবে শামীম কবীর প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা যায়। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম কবীর বলেন, তিনি বিগত ৩০ বছর যাবৎ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানব সেবামূলক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। জনসেবাকে ইবাদত বলে মনে করে তিনি উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যানে পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি আশাবাদী জনগণ তার সেবামূলক কার্যক্রমকে মূল্যায়ন করে ভোট দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।