• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

‘‘মা ও শিশুদের কল্যাণে সিসিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে’’ প্যানেল মেয়র লিপন বকস্

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মার্চ ৪, ২০১৯
‘‘মা ও শিশুদের কল্যাণে সিসিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে’’ প্যানেল মেয়র লিপন বকস্

প্যানেল মেয়র লিপন বকস্

‘‘ প্রতিটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে, মা ও শিশুদের কল্যাণে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। জন্ম নিবন্ধন এর ক্ষেত্রে আমি সব সময় যাচাই বাচাই করে থাকি, আমি চাই নিবন্ধনটি সঠিকভাবে হোক, তবে একটি বিষয় হচ্ছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়েতে অনেকেই সরকারী নিয়ম ও আইন কানুনকে মেনে চলেন না, মুসলমান ধর্মে দেনমোহর ও কাবিন রেজিষ্ট্রি করা হলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকের বিয়েতে তা করা হয় না। এতে পারিবারিকভাবে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়, এ থেকে পরিত্রান পেতে হলে আমাদের সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে’’
সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও ইউনিসেফ’র যৌথ উদ্যোগে কদমতলীতে অনুষ্টিত মা ও শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচার কর্মশালা (এডভোকেসি ওয়ার্কসপ) সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২৬ নং ওয়ার্ডের পরপর ২ বারের কাউন্সিলর রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপন, সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র (২) ও ২৫,২৬,২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এডভোকেট রোকসানা বেগম (শাহানাজ), বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ রফিকুল হক, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সিসিকের আরেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দ্রুব পূরকায়স্থ, ইউনিসেফের সিলেট অঞ্চলের ইমাজেন্সী অফিসার উম্মে কুলসুম নিপুন। সোমবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ প্রচার কর্মশালা অনুষ্টিত হয়। সভা পরিচালনা করেন, সিসিকের ইউসিএম সেগুপ্তা জাহান রাইজা ও জয়নাল আবেদীন। কর্মশালায় অতিথিবৃন্দদের প্রশ্ন করেন, সিলেট জেলা মটর ওয়ার্কসপ মেকানিক ইউনিয়নের যুগ্ম-আহবায়ক তরুণ সমাজসেবী ও আকবেট স্কুলের উপদেষ্টা বাবলু হোসেন হৃদয়, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক এম এ মালেকসহ অন্যান্যরা। বাবলু হোসেন হৃদয় তার প্রশ্নে বলেন, ইউনিসেফ কি শুধু ভাসমান ও কলোনী কেন্দ্রীক মা ও শিশুদের কল্যাণে কাজ করছে, ইউনিসেফ কি স্থানীয় বাসিন্দাদের আওতায় নেয়নি ? তার এ প্রশ্নের উত্তরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, যারা স্বচ্ছল তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেরাই ভাল চিকিৎসা করতে পারছে। ভাসমান ও কলোনী কেন্দ্রীক মা ও শিশুরা উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত কিংবা তারা অনেক বিষয় জানেনা। তাদের মধ্যে শিক্ষিতের হার কম, দরিদ্্র এ জনগোষ্টির পাশাপাশি ঠিকাদান কর্মসূচিতে দরিদ্র পরিবারের মা ও শিশুদের পাশাপাশি স্বচ্ছল পরিবারের শিশুরা ও উপস্থিত হচ্ছেন। এখানে নেই কোনো বৈষম্য। সবার সম্মিলিত চেষ্ঠা থাকলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকার ভেতরে মা ও শিশুদের নিরাপদ আবাস গড়ে তোলা সম্ভব। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।