• ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

২ মাসের মধ্যে ৩য় বার আটক হলো ছিনতাইকারী আকতার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মার্চ ২৯, ২০১৯
২ মাসের মধ্যে ৩য় বার আটক হলো ছিনতাইকারী আকতার

ছিনতাইকারী আকতার

সিলেট সুরমা ডেস্ক :  একই অপরাধী ২ মাসের মধ্যে ৩য় বার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। আটক আকতার হোসেন (২৩) জগন্নাথপুর উপজেলার ইসহাকপুর গ্রামের (বর্তমানে জৈনপুর, শিববাড়ী) আব্দুল নূরের ছেলে। সিলেট শহরতলীর দলদলী চা বাগান থেকে আকতার হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৫ টায় কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম মিঞার দিক নির্দেশনায় এসআই আকবর হোসাইন ভুইয়া পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। আটক ব্যক্তি এ সময় তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত নগদ ২ হাজার টাকা ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১টি চাকু উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইন শৃংঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা (মামলা নং-৪৩, তাং- ২৮/০৩/২০১৯) দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় সে ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড করে আসছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ছিনতাই পেশার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য একই ব্যক্তি ২ মাসের মধ্যে ৩য় বার আটক হলেও আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে এসে আবারো চালায় অপকর্ম।

গত ১৫ মার্চ দক্ষিণ সুরমার কদমতলী হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে চাকুসহ তালিকাভুক্ত অপরাধী আকতার হোসেনকে আটক করেছিলো দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ি পুলিশ। ঐদিনই বিকেল তিনটায় হুমায়ুন রশীদ চত্বরে টহলরত দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জুলহাসের নেতৃত্বে তাকে আটকের পর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনায় এএসআই জুলহাস জানান, তারা হুমায়ুন রশীদ চত্বরে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে মোটরসাইকেল আরোহী আকতারের দেহ তল্লাশী করলে তার সাথে একটি চাকু পাওয়া যায়। পরে তাকে আটক করে দক্ষিণ সুরমা থানায় নিয়ে যান তিনি । থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, আকতার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করতে সক্ষম হন । তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি ।

এর আগে আকতারকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী একই থানা পুলিশ আটক করলে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাকে মেট্রো আইনের ৭৮ ও ৭৯ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিলো ।

এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। উল্লেখ্য সিলেট নগরীতে প্রতিদিনই সিএনজি অটোরিকশায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে মোবাইল ফোন ও টাকা হারাতে হয় সাধারণ যাত্রীদের । এই ছিনতাইকারী চক্রের মুলহোতা আকতার বলে অভিযোগ উঠে ।

২৬ ফেব্রুয়ারী তাকে আটকের পর থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকতার জানায়, নগরীতে চারটি গ্রুপে তারা অটোরিকশায় ছিনতাই করে। সহযোগী হিসেবে রাজু, হালিম, আল আমিন, মাসুক, সাজু, শাকিল, শহীদ, আলী ও মনসুরেরও নাম বলে।