• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ওসি আক্তার ও চেয়ারম্যান আফসরের অত্যাচার থেকে মুক্তি চান অসহায় গৃহিনী

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মে ২২, ২০১৯
ওসি আক্তার ও চেয়ারম্যান আফসরের অত্যাচার থেকে মুক্তি চান অসহায় গৃহিনী

সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়ায় এক পরিবারের সদস্যরা একটি কুচক্রি মহলের কাছে অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছে। আর কুচক্রি মহলটির আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের হযরত শাহপরাণ থানার ওসি আক্তার হোসেন ও খাদিম পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফসর আহমদ বলে অভিযোগ তাদের। ওসি আক্তার হোসেন ও চেয়ারম্যান আফসর আহমদ এ অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন সিলেট সদর উপজেলার এক গৃহিনী।

গতকাল মঙ্গলবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের আজমল আলী নেপুর মিয়ার স্ত্রী হারুন বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হারুন বেগম বলেন, অত্যাচারী ওসি আক্তার হোসেনকে অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। এ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি চেয়ারম্যান আফছরের সাথে হাত মিলিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে দায়ের করে মামলায় গ্রেফতার করে আমার স্বামী জেল হাজতে পাটিয়ে দেন।

তিনি বলেন, সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের হযরত শাহপরাণ থানার ওসি আক্তার হোসেন দীর্ঘদিন থেকে এই থানায় কর্মরত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। নিরিহ মানুষকে বারবার হয়রানির অভিযোগও উঠেছে।

ইদানিং একের পর এক মামলায় বিপর্যস্ত শাহ্‌পরাণবাসী। আর এসব মামলার বেশিরভাগই হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে। সম্প্রতি খাদিমপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সালিশ ব্যক্তিত্ব আজমল আলী নেপুর মিয়ার সাথে মুরাদপুর গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর মেয়ে রাসনা বেগমের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।

এক পর্যায়ে গত ১৬ মে নেপুর মিয়ার ভাতিজা হিফজুর রহমানের সাথে তার প্রতিপক্ষ দৌলত মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এর সাথে নেপুর মিয়া জড়িত ছিলেন না। অথচ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৮ মে হযরত শাহপরাণ থানায় রাসনা বেগম বাদী হয়ে নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয় নেপুর মিয়াসহ মোট ৫ জনকে।

তিনি মামলায়র অভিযোগে হাত ভাঙ্গাঁ ও মারধরের কথা উল্লেখ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভ’য়া ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। মামলা দায়ের করার পর নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করার কথা। ঐদিন রাতে নেপুর মিয়া অন্য কাজে থানায় যান। এ সময় শাহপরাণ থানার ওসি আক্তার হোসেন কোন ধরণের তদন্ত বা অনুসন্ধান ছাড়াই রাসনা বেগমকে দিয়ে অভিযোগ লিখিয়ে নেপুর মিয়াকে গ্রেফতার করেন।

তিনি বলেন, রাসনা বেগমের সাথে মুরাদপুর বাজারের জমির নিয়ে চেয়ারম্যান আফসরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিরোধপূর্ণ জমি রাসনাকে দখল করে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি নিজেও অর্ধেক অংশের মালিক হবেন এমন কথা এলাকায় ব্যাপক প্রচারিত। তাছাড়া চেয়ারম্যান আফসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দলীয় ঘনিষ্ঠতার দাপট দেখান এলাকায়। তিনি কথায় কথায় গোটা এলাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। নেপুর মিয়া ও তার পক্ষের লোকজনকেও তিনি একই পদ্ধতিতে ঘায়েল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত তিনি।

হারুন বেগম বলেন, সাধারণ কথা কাটাকাটির জের ধরে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও তাকে গ্রেফতার করায় কঠিন দুরবস্থায় দিনযাপন করছি। তদন্ত না করে মামলা গ্রহন করায় এলাকাবাসী ওসি আক্তারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। ইতিমধ্যে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করা হয়েছে।

তিনি আওয়ামী লীগের নিবেদীত প্রাণ নেতা নেপুর মিয়ার মুক্তি ও ওসি আক্তারকে অপসারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সিলেটের প্রশাসনের সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।