• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠার কোন বিকল্প নেই : বিচারপতি সিকদার মকবুল হক

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জুলাই ২৭, ২০১৯
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠার কোন বিকল্প নেই : বিচারপতি সিকদার মকবুল হক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের (বিএমবিএফ) চেয়ারম্যান বিচারপতি সিকদার মকবুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন সরকারের হাতেই সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। সরকারের সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাজ নির্দিষ্ট করা আছে। যখন তারা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে না তখনই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। সরকার দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলছে। অথচ বাস্তবে এর সত্যতা পাওয়া যায় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু নি¤œ পর্যায়ের মাদককারবারীদের ধরলেও গদফাদারদের ধরা হয়নি। তিনি বলেন, বর্তমানে শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। সম্পদের সুষ্ঠু বণ্ঠন হচ্ছে না। প্রতিটি শিশু ৮০ হাজার টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। বর্তমানে খাদ্যে ভেজালের মাত্রা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এমতাবস্থায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তাদের কাছ থেকে বাধা আসবেই। তবে মানবাধিবার কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো বাধাই টিকবে না।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় আন্তর্জাতিক মানাবাধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় কমিটি।
এর আগে সকাল ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রশিকা ও মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সমাজবন্ধু ড. কাজী ফারুক আহমদ। পরে নগরীতে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।
সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি ও জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব এস এম সাইফুর রেজা।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সমাজবন্ধু ড. কাজী ফারুক আহমদ বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। অথচ এই বাংলাদেশই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে মানবাধিকার লংঘনের অবসান করেছিল। তিনি বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রথমে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। মানবাধিকার লংঘনকারীরা রাজনৈতিকভাবে ও অর্থনৈতিকভাবে সবল হয়। তাই তাদের মোবাবিলা দলবদ্ধভাবে করতে হবে, যাতে ক্ষতি কম হয়। পরিতাপ নয়, ঐক্যবদ্ধ থেকে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে হবে।
সিলেট বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন তালুকদার ও সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাজ্জাদুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় এবং সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ¦ নুরুল ইসলাম ইছন মিয়ার স্বাগত বক্তব্যে মাধ্যমে শুরু হওয়া সম্মেলনের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলার অ্যাডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম, বিএমবিএফ ইউকে কো-অর্ডিনেটর হাবিবুর রহমান লিটন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এ এম আনোয়ার শাহ, যুগ্মমহাসচিব ড. মো. সলিমুল্লাহ, অর্থ সচিব মুহম্মদ ফরহাদ হোসেন, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মুহাম্মদ আব্দুল কাদের, বরিশাল বিভাগীয় সমন্নয়কারী হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জুয়েল, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সুরঞ্জিত বর্মণ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আন্তার্জাতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, সিলেট জেলা সভাপতি আলরাফুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর সভাপতি শামীম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশিদা সাঈদা খানম, সহ-সভাপতি ডা. এম এ রকিব, হাকীম ছাদউল্লাহ বাচ্চু, মো. বেলাল উদ্দিন, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আদিল উদ্দিন, সুনামগঞ্জ সভাপতি আল হেলাল, এডভোকেট সুদীপ বৈদ্য, এডভোকেট আবু তাহের, এডভোকেট মাহমুদুল আলম শামীম, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, খালেদ মিয়া, মধু মিয়া, ফারুখ আহমদ লোদী, আব্দুল হান্নান, জাহাঙ্গীর আলম, আলী আহসান হাবীব, শাহ আলম, আলফর খান, শিরিন চৌধুরী, হুমায়ুন রশীদ শাহীন, ইউসুফ সেলু, ইমতিয়ার হোসেন আরাফাত, মামুন চৌধুরী, তৌহিদ হোসেন বাবু, সাজ্জাদুর রহমান, আলী হোসেন প্রমুখ। সম্মেলনের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা মোতাহির আলী এবং গীতা পাঠ করেন সুরঞ্জিত বর্মণ। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।