• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

কাউন্টার ও পার্কিং না করে বিআরটিসি বাস উদ্বোধন আজ : নিন্দা ও প্রতিবাদ

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ৯, ২০১৯
কাউন্টার ও পার্কিং না করে বিআরটিসি বাস উদ্বোধন আজ : নিন্দা ও প্রতিবাদ

সিলেট সুরমা ডেস্ক : সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ রোডে নগরের আম্বরখানায় বাসের কাউন্টার ও পার্কিং ব্যবস্থা না করে তড়িঘড়ি করে বিআরটিসি’র বাসের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ শনিবার (৯ নভেম্বর)। এনিয়ে স্থানীয়রা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জানা যায়, শনিবার সকাল ১০:১৫ মিনিটে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে যাত্রীসেবা স্লোগানে আম্বরখানা কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আম্বরখানা জামে মসজিদ এলাকায় বাসের উদ্বোধন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রবাসী ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এখানে স্কুল ও মসজিদ থাকায় এরআগে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইঘাট-হালদারপাড়া-সালুটিকর মিনিবাস সমিতি তাদের বাসস্ট্যান্ড করতে চেয়েছিল। তখন স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ জানান। তারা স্কুল ও মসজিদে যাতায়াতের ভোগান্তি হবে বলে জানালে উক্ত স্থান থেকে স্ট্যান্ড প্রত্যাহার করে মজুমদারিতে সরিয়ে নিতে বাধ্য হন। জনগণের সুবিধার্থে এ পদক্ষেপ প্রত্যাহার করেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি রিমাদ আহমদ রুবেল। তিনি জানান, আমরা প্রথমে আম্বরখানা কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আম্বরখানা জামে মসজিদ এলাকায় স্ট্যান্ড করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয়দের যৌক্তিক দাবিতে আমরা তা থেকে সরে আসি। এখন সেখানে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ সেখানে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। আমরা চাই সেখান থেকে বিআরটিসি বাসের কার্যক্রম প্রত্যাহার করতে। সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যেতে হয় এ সড়ক দিয়ে। ভিআইপি এ সড়কে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে প্রতিদিন কয়েক শতাধিক ট্রাক এ সড়কে চলাচল করে। এমনিতেই যানজট লেগে থাকে। সেখানে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ রাস্তার মধ্যে গাড়ি রেখে তাদের কার্যক্রম চালাবে। এতে যানজট আরও বৃদ্ধি পাবে। এমনটা বলছিলেন রিমাদ আহমদ রুবেল।

রাস্তার মধ্যে বিআরটিসি বাস উদ্বোধনের খবর ও তাদের উদ্বোধন কার্যক্রম দেখে বিস্মিত স্থানীয় কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।

তিনি বলেন, এরআগে এখানে বাসস্ট্যান্ড করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন আমরা দুটি স্কুল ও মসজিদের কথা তাদের বলি। তখন তারা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

অন্ততপক্ষে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্কুল-মসজিদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করা উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এবিষয়ে বিআরটিসি সিলেট ডিপোর ম্যানেজার জুলফিকার আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা হঠাৎ করে মন্ত্রী মহোদয়ের শিডিউল পাই। গতকাল (বৃহস্পতিবার) শিডিউল পাওয়ার পর আমরা কাউন্টার ও স্ট্যান্ডের জায়গা খোঁজাখুঁজি করি। এখনো পাইনি। আশাকরি কয়েকদিনের মধ্যে পেয়ে যাবো।

একপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত রাস্তায় গাড়ি রেখে কার্যক্রম শুরু করবো। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।