• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্ম তারিখ নিয়ে ‘হ-য-ব-র-ল’

প্রকাশিত অক্টোবর ২৭, ২০১৬

সিলেট সুরমা ডেস্ক:::: আসন্ন পিএসসি, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের জন্ম তারিখ নিয়ে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় নানা হ-য-ব-র-ল শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় জমা দেয়া জন্ম নিবন্ধন সনদের সাথে পিএসসি, জেএসসি ও জেডিসি’র রেজিষ্ট্রেশন কার্ড কিংবা প্রবেশ পত্রে জন্ম তারিখ গড়মিল থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকেরা।

সাদুল্যাপুর উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্ম তারিখ ভুলের কারণ হিসেবে অভিভাবকরা দায়ী করছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদেরকে। অভিভাবক জাহিদুল ইসলাম ও জলিল আকন্দসহ আরও অনেকে জানান, সন্তানদেরকে ১ম শ্রেণিতে ভর্তির সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিকট জন্ম সনদ জমা দেওয়া হয়েছিল। ওই জন্ম সনদ অনুযায়ী ওইসব শিক্ষার্থীর পিএসসি ও জেএসসি/জেডিসির সনদে একই জন্ম তারিখ হওয়ার কথা। কিন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদের অজ্ঞতা অথবা হেয়ালীপনার কারণে শিক্ষাগত সনদে জন্ম তারিখ গড়মিল দেখা দিয়েছে। জন্ম তারিখের পার্থক্যের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিশ্যৎ জীবনে বহুবিধ জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে অভিভাবক মহল আশঙ্কা করছেন।

সম্প্রতি কিছু সচেতন অভিভাবক মহল সন্তানদের বয়স সঠিক রাখতে আবারও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করছেন। তবে লক্ষণীয় যে, অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের বয়সের গড়মিল থাকার কারণে একই সাথে অভিভাবকগণ ভীড় জমাচ্ছেন ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রগুলোতে।

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত উদ্যেক্তারা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অভিভাবক কিংবা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা। কেউ কেউ অতিরিক্ত টাকা দিয়েও সময় মতো পাচ্ছেন না সন্তানদের কাঙ্খিত জন্ম নিবন্ধন সনদ পত্র। তবে অসচেতন অভিভাকের সন্তানদের জন্ম তারিখের ভ্যাল্কিবাজী থেকেই যাচ্ছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

সাদুল্যাপুর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, ১ম শ্রেণিতে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অসাবধান বসত: কিছু কিছু শিক্ষার্থীর জন্ম তারিখের গড়মিল হয়েছে।

সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম ও বুজরুক রসুলপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, ওইসব শিক্ষার্থীদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সময় পিএসসি পরীক্ষার সনদ নেওয়া হয়েছে। আর ওই সনদের জন্ম তারিখ মিল রেখে জেএসসি/জেডিসি’র রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জন্ম তারিখের পার্থক্য বিষয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ দায়ী বলে তারা জানান।