• ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ধর্মঘটে অচল মৌলভীবাজার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৭, ২০১৭

 মৌলভীবাজার  সংবাদদাতা :::::   শ্রীমঙ্গলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের জেরে মৌলভীবাজার জেলায় পরিবহন ধর্মঘট চলছে।    শুক্রবার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পরিবহন ধর্মঘট পালন শেষে বিকেলে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার মৌলভীবাজার জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন মৌলভীবাজার পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সঞ্জিত কুমার দেব এবং শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ লুৎফুর রহমানসহ অন্য নেতারা।
একই ঘটনায় গতকাল শুক্রবারও শ্রীমঙ্গলে পালিত হয়েছে ব্যবসায়ী ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকে সর্বাত্মক ধর্মঘট।
ধর্মঘটের ফলে শনিবার সকাল থেকে জেলায় বাস-ট্রাক-সিএনজি-ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষসহ বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
অন্যদিকে শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে দাবি আদায় না হলে আবারও ধর্মঘটে যাবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
শুক্রবার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসন শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আনুরোধ করেন। তবে নিজেদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল শহরের ভানুগাছ রোডে গাড়ি রাখা (পার্কিং) নিয়ে এক বিজিবির সদস্যের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ খবর বিজিবির শ্রীমঙ্গল সদর দপ্তরে পৌঁছালে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ মানুষকে মারধর করেন। পরে পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় প্রায় ১০০ গাড়ি ও ৫০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে আটজন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়।
পরে পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় প্রায় ১০০ গাড়ি ও ৫০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে আটজন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওইদিন রাতে ব্যবসায়ীরা শ্রীমঙ্গল চৌমুহনী চত্বরে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং ধর্মঘটের ডাক দেন।
ঘটনা তদন্তে বিজিবি রিওজন পর্যায়ের চার সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে বিজিবির তদন্তকারী দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
অন্যদিকে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট ফারুক আহমেদকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।