• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দেশের মানুষ জঙ্গীদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

sylhetsurma.com
প্রকাশিত এপ্রিল ২১, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত দেশের মানুষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জীবনবাজী রেখে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে।’
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরা আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমন উপলক্ষে আলেম-ওলামা সমাবেশে’ বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা কোন দিনই জঙ্গি হতে পারে না। কওমি মাদ্রাসা থেকে কখনো জঙ্গি সৃষ্টি হয় না।
তিনি বলেন, আমরা অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশের মানুষ। এদেশে সবাই তাদের স্ব-স্ব ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করছে। তিনি উপস্থিত আলেম-ওলামাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, মানুষ হত্যা করলে বেহেস্ত যাওয়া যাবে কোরআনের কোন আয়াতে এমন কথা বলা আছে ?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওলামাদের পথভ্রষ্ট করতে না পেরে জঙ্গিরা ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র-ছাত্রীদের জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহার করছে।
এডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি বলেন, ইসলামের সাথে জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের কোন সম্পর্ক নেই। পৃথিবীতে মানবতা ও কল্যাণের একমাত্র ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। তিনি আরও বলেন, যারা ইসলামের দোহাই দিয়ে নিরপরাধ লোকদের হত্যা করে তারা কখনোই প্রকৃত মুসলমান হতে পারে না।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ ও ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। তিনি বলেন, জঙ্গিরা নিরপরাধ মানুষ হত্যা করে বিশ্বের সামনে মুসলমানদের অপমান করছে। ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে তারা সাধারণ মানুষকে জঙ্গিবাদে উস্কে দিচ্ছে।
ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এম. এ করিম, উত্তরা ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফছার উদ্দিন খান, আলহাজ্ব কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সালাউদ্দিন আহমেদ খোকা, শায়খুল হাদিস মুফতি শাহাদাত হোসেন, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা শাহীন খান, মাওলানা গোলাম মোস্তফা, মাওলানা এখলাছুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।