• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে নৌকা ও বলগ্রেড মেশিন আটক

sylhetsurma.com
প্রকাশিত মে ৭, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : কুশিয়ারা নদী থেকে শেরপুর অর্থনৈতিক জোনে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে নবীগঞ্জ উপজেলার পারকুল ও পাহাড়পুর গ্রামের কাছে বালু ভর্তি একটি নৌকা, একটি বলগ্রেড মেশিন ও একটি খালি নৌকা আটক করা হয়েছে। শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার অভিযান চালিয়ে এগুলো আটক করেন। এ সময় আটক তিন বালু শ্রমিককে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। আটককৃত নৌকা ও বালু সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছিল যার বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় বিশ লক্ষ টাকা। জানা যায়, সিলেট বিভাগের অর্থনৈতিক জোন শ্রীহর্টের কাজ সম্প্রতি ভেজা গ্রুপ শুরু করে। ঐ জোনে বালু ভরাটের দায়িত্ব নেয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন। অর্থনৈতিক জোনটি সিলেটের তিনটি জেলা মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট সদরের সীমান্তে অবস্থিত হবার কারণে ওই তিন এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক চক্র, জনপ্রতিনিধিরা মিলে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিগত কয়েক মাস যাবত অবৈধভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খবর পেয়ে একদল পুলিশ নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বালু ভর্তি বলগ্রেড নৌকা, একটি খালি নৌকা, একটি বালু উত্তোলনের বলগ্রেড মেশিন আটক করেন। এ সময় তিনজন শ্রমিককে আটক করা হয়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে এসকল অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান। পাহাড়পুর গ্রামের ইউপি সদস্য রোজিনা বেগম বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের জন্য আমাদের এলাকায় তীব্র নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে প্রায় ২০/২৫টি ঘর-বাড়ি ও অর্ধশতাধিক একর ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনে যত বড় সিন্ডিকেট হউক না কেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না। আটককৃত নৌকা, বালু ও বলগ্রেড মেশিন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মতিন আছাবের জিম্মায় রাখা হয়। আটক শ্রমিকদের মুছলেখা নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।  তিনি আরো বলেন, আটককৃত নৌকা ও বালুর ব্যাপারে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।