• ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের

sylhetsurma.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭

সিলেট সুরমা ডেস্ক : জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস রাখাইন রাজ্যে সেনা তৎপরতাকে মূলত রোহিঙ্গা মুসলিমদের ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য বুধবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নের নিন্দা এবং সহিংসতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারের অন্যতম সমর্থক চীনও বৈঠকে অংশ নেয়। খবর এএফপি’র।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এ প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে সর্বসম্মত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
গত মাসে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হামলার জবাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক দমন-পীড়ন ও জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে প্রায় তিন লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুকির প্রতি রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর একের পর এক আন্তর্জাতিক আহ্বান তীব্র হয়ে ওঠে। সুকির মুখপাত্র জানান, তিনি আগামী সপ্তাহে মিয়ানমারের শান্তি ও পুনর্মিলন নিয়ে বক্তব্য দেবেন। এর আগে জানানো হয়েছে, রোহিঙ্গা পরিস্থিতির কারণে তিনি চলতি মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন না।
নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গণহারে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন করা হচ্ছে যা জাতিগত নির্মূলের শামিল।
তিনি আরো বলেন, আমি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি অবিলম্বে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ, সহিংসতার অবসান এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ দেশ ত্যাগে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
রোহিঙ্গারা জাতিগত নির্মূলের শিকার এ বিষয়ে তিনি একমত কিনা এ প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব বলেন, যখন এক-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়, তখন বিষয়টিকে বর্ণনা করার জন্যে এর চেয়ে ভালো শব্দ কী হতে পারে?
গুতেরেস বলেন, মিয়ানমার সরকারকে হয় রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে, অথবা তাদের বৈধ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারে।
সহিংসতার নিন্দা করে নিরাপত্তা পরিষদ রাখাইন রাজ্যে ত্রাণকর্মীদের পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছে।