• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

যে পদক গ্রহন করতে রাজি হলেননা আ’লীগ নেতা হাজী গোলজার

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮

পদক ও পদক বাণিজ্য এখন কতিপয় ধান্ধ্যাবাজদের একটি মাধ্যম হয়ে উঠছে। অথচ পদক ছিলো যোগ্য মানুষকে প্রাতিষ্টানিক স্বীকৃতির একটি হাতিয়ার। পদক যোগ্যলোক হবেন যোগ্যতায় অনন্য, সমাজের সাদা মনের মানুষ। সেই যোগ্য লোকদের খুঁজে বেড়াবে এর চেয়েও যোগ্য সংগঠন ও তাদের নেতৃত্ব। কিন্তু অনিয়ম দুর্নীতির যাঁতাকলে পড়ে আজ আমাদের সমাজ সভ্যতা চরম হুমকিতে। সবকিছুই এখন যেন ভংগুর। আকর্ষনের বদলে বিকর্ষণ এখন সমাজের বাস্তবতা। কোকিলের ডাক এখন কাক ডাকে। সেই অনিয়ম যেন এখন নিয়ম। টাকার বদলে পদক ন্ওেয়ার খবর এখন স্বীকৃত। ভূঁইফোড় সংগঠন পদকের নামে লোক নির্বাচন করে পদক দিয়ে, ধান্ধাবাজী করছে। পদক বিতরনী অনুষ্টানে পদস্থ ও মর্যাদাবান লোকদের আমন্ত্রন ও জানায় তারা। সবকিছুই আই্ওয়াশ। তবে আশার কথা চলমান এই অন্ধকারের পথ এখন যায় যায়। বিবেকবান মানুষ ্এখন নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছে। তাদের মোহ নেই পদক বা পদক বাণিজ্যে। তারা মনে প্রাণে জানে, এই সব ভূয়া ্ও ধান্ধা। সম্প্রতি সুনামধন্য পরিবহন ব্যবসাীয় ও আ্ওয়ামীলীগ নেতা হাজী গোলজার আহমদকে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ শাইনিং পার্সোনালিটি এ্যাড্ওয়ার্ড-২০১৮ প্রাপ্তিতে মনোনীত করা হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারী এ পদক গ্রহন করতে তাকে পত্র দিয়ে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। বিকাল ৪ টায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অডিটোরিয়াম, ঢাকায় পদক বিতরনী অনুষ্টান শুরু হবে। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিচারপতি মো: শামসুল হুদা সহ দেশ বরণ্যে একাধিক জাতীয় ব্যক্তিত্ব। এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে মনোনিত হয়ে পদক গ্রহনে আমন্ত্রীত হল্ওে এই পদক গ্রহনে মোটেই আগ্রহী নন হাজী গোলজার আহমদ। এব্যাপারে তিনি বলেন, যে যোগ্যতার বিচারে আমাকে পদক প্রাপ্তিতে মনোনতি করা হয়েছে আমি মনে করি জুরি বোর্ড এক্ষেত্রে সুবিবেচনা বা তাদের নির্বাচন সঠিক ভাবে করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারন আমি ব্যবসা বানিজ্যে বিশেষ কোন অবদান রাখতে পারিনি এখন্ও। যে বিষয়টিতে আমি নিজেই সন্তুষ্ট নই, সেখানে তারা কিভাবে বুঝলেন আমি বিশেষ অবদান রেখেছি। আমি পদক গ্রহন না করার মধ্যে দিয়ে সমাজ, রাষ্ট্র ্ও সর্বস্তরের সচেতন মানুষের প্রতি ম্যাসেজ দিতে চাই, যোগ্যতার বিচারে যদি আমরা ভূল করি, তাহলে কোন কাজই টেইসই্ ্ও মর্যাদার হবে না। আশা করি পদক দ্ওেয়ার পূর্বে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা দরকার। যে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আমাকে পদক প্রাপ্তিতে বিবেচনায় নিয়েছে, আশা করি তাদের মনে রাখা উচিত স্বয়ং ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন, ‘যে সমাজে জ্ঞানীদের সম্মান করা হয় না, যে সমাজে জ্ঞানী জন্মায় না।’ প্রচলিত সমাজে জ্ঞানী বা যোগ্য লোকদের কি সম্মান করা হচ্ছে ? আমার দাবী যোগ্য লোকদের প্রকৃত অর্থে মূল্যায়িত করে পদক দ্ওেয়া হলে, আমরা এমনিতেই মূল্যায়িত হয়ে যাবো। কোন আনুষ্টানিক পদকের দরকার হবে না। পদকও মর্যাদাহীন হবে না। তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি সংগঠন এক শ্রমিক নেতাকে যে কাজে মূল্যায়ন করে একাধিক বার পদক দিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। অথচ ওই লোকের কর্মকান্ড নিয়ে, গোটা পরিবহন সমাজ বিব্রত। অপাত্রে পদক দান বন্ধ করা দরকার। সেজন্য পদক দেওয়া ও যারা দেয় তারা পূর্বে পদকের মর্যাদায় নিজে যোগ্যবান যেন হয়, সেই দাবী হাজী গোলজারের। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।