• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

একজন হেভিওয়েট ডাঃ শাহরিয়ার ও সিলেট ১ আসন

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২৩, ২০১৮

ডা. শাকিল রহমান ::: বিশ্বের বিখ্যাত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিবার্সিটি অব ওয়েলস কলেজ অব মেডিসিন কার্ডিফ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করার পূর্বে অধ্যাপক ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ১৯৮৩ সনে সাফল্যের সহিত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি স্বাধীনতা পরর্বতী সময়ে বাংলাদেশের গঠিত পাবলিক সার্বিক কমিশন পিএসসিতে প্রথম বার অংশগ্রহন করে সাফল্যের সহিত বিসিএস ডিগ্রী অর্জন করে সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন। কিন্তু একজন জাতীয়তাবাদী চেতনার বিশ্বাসী হওয়ায় সিলেট মেডিকেল কলেজের সাবেক এই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী তৎখালীন সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে কারান্তরীন করে তার উপর চালানো হয় অমানুষিক অত্যাচার। পরবর্তী সময়ে সরকারি চাকুরীতে বার বার বদলি বানিজ্যের স্বীকার হয়ে ঘুরতে থাকেন বিভিন্ন জেলায়-জেলায়। ঠিক তখনই ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ সরকারী চাকুরী থেকে রিজাইন লেটার দিয়ে চলে আসেন নিজ জেলা সিলেটে। সাধারন মানুষদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্টা করেন দেশের বিখ্যাত হাসপাতাল, নর্থইষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। তার তৈরি করা এই হাসপাতাল যেমন দিয়েছে মানুষকে সেবা, তেমনি তৈরি করছে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সেবা দিয়ে যাওয়া হাজার হাজার চিকিৎসক। উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে জাতীয়তাবাদী আর্দশের টানে তিনি বিলাত থেকে ফিরে চিকিৎসক পেশার সাথে সাথে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে। তখনই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাকে ডেকে নিয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্থা জাসাস এর সিলেটের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় জাসাসে সহ সভাপতি দায়িত্বে দেন। পরর্বতীতে করেন সিলেট জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, জেলা বিএনপি’র দায়িত্ব থেকে বেগম জিয়া তাকে নিয়ে এনে দায়িত্ব দেন সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়কের, এখান থেকে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য করে, এবং পরবর্তীতে তাকে আবার’ও দায়িত্ব দেওয়া হয় সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়কের, তার হাত ধরে প্রথম বারের মতো সিলেট মহানগর বিএনপির প্রত্যেকটা ওয়ার্ড পায় তাদের পুর্নাঙ্গ কমিটি। বিএনপি রাজনীতির পাশাপাশি চলতে থাকে পেশাজীবি রাজনীতি’ও। ছাত্রজীবন শেষে ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী সহ জাতীয়তাবাদী ঘরণার কয়েকজন চিকিৎসক এক হয়ে বাংলাদেশে প্রতিষ্টা করেন চিকিৎসকদের সর্ববৃহত সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), তখন তিনি হন কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সভাপতি ও সিলেট জেলা ড্যাবের সভাপতি । করছেন দুইবার বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) নির্বাচন, দুই দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন সাধারন সম্পাদক হিসেবে। তার নেতৃত্বে সিলেটে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিএমএ ভবন, হয়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজের বর্ধিতকরন, তার একক প্রচেষ্টায় সিলেট সদর উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শাহ্ খুররম ডিগ্রি কলেজ, ছিলেন এই কলেজের গভর্নিং বডির প্রতিষ্টাতা সভাপতি। অবদান রেখেছেন সিলেটের প্রতিটি ক্ষেত্রে। বিশেষ করে শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্র প্রসারে তার অবদান অসামান্য, প্রতিষ্টা করেছেন নর্থ ইষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ইষ্ট নার্সিং কলেজ, ব্রিটিশ বাংলাদেশ ইন্টারনেশনাল স্কুল ও কলেজ, নর্থ ইষ্ট ক্যানসার হাসপাতাল। ছিলেন অগ্রনী ব্যাংকের ডাইরেক্টার, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এবং সিলেট ডায়বেটিক হাসপাতালের ফাউন্ডার মেম্বার। আছেন বাংলাদেশে প্রাইভেট প্রেক্টিশনার্স এসোসিয়েশন এর সাধারন সম্পাদক ও চেম্বার অফ কমার্স সহ বিভিন্ন বিজনেস এসোসিয়েশনের গুরু দায়িত্বে। মানব সেবায় কাজ করে যাওয়ায়, সকল অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ প্রাপ্তির মাধ্যমে সাক্ষর রেখেছেন দেশ ছেড়ে বহিবিশ্বে’ও, পেয়েছেন বিশ্ব বিখ্যাত Mother Teresha Gold Award , Nenson Mendela Award, ইউরোপীয়ান মেডিকেল এসোসিয়েশন (ইউকে) থেকে পেয়েছেন Rose of Paracelsus Award, এছাড়া’ও বহুবার পুরষ্কীত হয়েছেন দেশ বিদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনায়ক তারেক রহমানের আর্দশে বলীয়ান বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের ক্রান্তি লগ্নে রাজপথ থেকে বারা বার কারাগারের লৌহ প্রকোষ্ঠে বন্দী হওয়া ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী শুধু একজন নেতাই নন, সিলেটে বিএনপির সকল কর্মীদের মাতা উচু করে ও মনোবল তুঙ্গে তুলে ধরে গর্ব করার মতো একটি স্তম্ভ তিনি। এখন’ও ছুটে চলেন কর্মীদের যে কোন বিপদে, আর্থিক ও মানুষিক ভাবে এগিয়ে আসেন হাজারো হামলা-মামলার স্বীকার যে কোন নেতা কর্মীর পাশে। এরশাদ বিরোধী সৈরাচারী আন্দোলনে বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া সর্বপ্রথম ছাত্রনেতা ও বিএনপি কর্মী ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী জড়িয়ে আছেন সিলেটের প্রতিটি মানুষের মনে একজন উন্নয়নশীল মানুষীকতার সজ্জন ও পরিচ্ছন্ন ব্যাক্তি হিসেবে। উন্নায়নের অগ্রযাত্রায় তার অসামান্য সকল অবদান সিলেট বাসীকে গর্বিত করে। তাই সিলেট ১ আসন তথা এই অঞ্চলের তৃণমূল নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের মনে তার অবস্থান প্রশ্নাতীত বলেই এই অঞ্চলের বিএনপির নেতা কর্মীরা মনে করেন। এবং এই অঞ্চলের মানুষ বিশ্বাস করে এই গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ সিলেট ১ আসনে রাজনৈতিক জীবনসমৃদ্ধ পাশাপাশি সামাজিক কর্মে উজ্জ্বল একজন পার্থী ভোটারদের প্রাণের দাবী। এতদবিষয় বিবেচনা করে অধ্যাপক ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীকে সিলেট ১ আসনে বিএনপি মনোনীত পার্থী করে দল ও নেতা কর্মীদের আরো সংগঠিত করে, মজলুম নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করতে ও গনতন্ত্র পুঃন প্রতিষ্টার ক্ষেত্রে ইনশাল্লাহ দল সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত দিয়ে নেতা কর্মী ও সমাজের সকল শ্রেণীর ভোটারদের মধ্যে হাসি ফোটাবে।