• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সুরত আলীর কাণ্ড

sylhetsurma.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৭, ২০১৮
সুরত আলীর কাণ্ড

সিলেট সুরমা ডেস্ক : ভুয়া পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যবহার করে মুম্বই হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার সময় এক বাংলাদেশীকে গ্রেপ্তার করেছে সাহার পুলিশ। বৃহস্পতিবার মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা ওই বাংলাদেশীর নাম হুমায়ুন সুরত আলী (৩০)। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডিএনএন। এতে বলা হয়, সুরত আলী ভারত ত্যাগ করার আগেই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের নজরে পড়ে যান। তাদের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় সব গুমোর ফাঁস হয়ে যায়। পুলিশ বলেছে, সুরত আলী একজন বাংলাদেশী। তিনি ঘন ঘন সীমান্ত অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়া-আসা করেন।

এক্ষেত্রে তাকে সহায়তা করতো বালু দালু নামে একজন। এই বালু দালুই তাকে ভুয়া পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য ডকুমেন্ট বানাতে সহায়তা করেছে, যাতে তিনি যত তাড়াতাড়ি পারেন ভারত ত্যাগ করতে পারেন। এ নিয়ে তদন্ত করছেন এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছে, ৫ই ডিসেম্বর রাতে সুরত আলী সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতে ফ্লাইন নম্বর ৬ই-৬১ ধরতে মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। এ সময় তার কাছে দুবাইয়ে কাজ করার অনুমতি সম্বলিত ওয়ার্ক পারমিট ছিল। কিন্তু তা দেখে সন্দেহ হয় অভিবাসন কর্মকর্তাদের। তারা তাকে রুটিনমাফিক কিছু প্রশ্ন করেন তাকে। কিন্তু সুরত আলী সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেন নি। পরে তিনি কর্মকর্তাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং কথা বলতে থাকেন বাংলায়। এতে তার বিষয়ে সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়। তিনি যে পাসপোর্ট বহন করছিলেন তাতে নাম ছিল মিয়া শহিদুলের। যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায় তা ভুয়া।
এ সময় তাকে পাল্টা প্রশ্ন করতে থাকেন কর্মকর্তারা। সুরত আলী বুঝে যান তিনি ধরা পড়ে গেছেন। এ সময় তিনি বলেন, সীমান্ত অতিক্রম করে ২০০৫ সাল থেকে তিনি ভারতে যাওয়া-আসা করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার ভিসা ও একটি নকল পাসপোর্ট দিতে তিনি এজেন্ট বালু দালুকে দিয়েছেন ২০ হাজার রুপি। বলা হয়েছিল এগুলো ব্যবহার করে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন এবং ভাল টাকা আয় করতে পারবেন। তদন্তে দেখা গেছে, এসব ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একটি অফিসে। সেখান থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্লাইট ধরার জন্য মুম্বই গিয়েছিলেন সুরত আলী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ধরা পড়ে গেছেন তিনি। তার ভিসার নম্বর ভিকে-৯২৫২৩৫৯ এবং পাসপোর্ট নম্বর এস-৮৮৬৯৫২৪। যখন ইমিগ্রেশন, ভিসা, ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ট্রাকিং অ্যান্ড ইউনিক কেস ফাইল (আইভিএফআরটি) নিরাপত্তা চেকে দেয়া হয় তখন দেখা যায় এগুলো সব ভুয়া। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। পুলিশ জানার চেষ্টা করছে সুরত আলী কেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

 

তথ্য সূত্র, মানবজমিন লিংক সংযুক্ত