• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মুকেশ আম্বানির বাড়ি সম্পর্কে অজানা দশটি তথ্য, জানলে অবাক হবেন

sylhetsurma.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২৪, ২০১৮

সিলেট সুরমা ডেস্ক : আমরা সবাই জানি যে মুম্বাইতে অবস্থিত রয়েছে মুকেশ আম্বানির বিস্ময়কর একটি বাড়ি । এই বিস্ময়কর বাড়িটিকে নিয়ে অজানা কিছু তথ্য গড়ে উঠেছে জেনে নিন তাহলে এরকমই অজানা ১০ টি তথ্য ।

১) মুকেশ আম্বানির এই বিস্ময়কর বাড়িটির নামকরণ করা হয় আটলান্টিক মহাসাগরের এক পৌরাণিক দ্বীপের থেকে আনতিলার নাম তার বাড়িটির । আটলান্টিক মহাসাগরের এই দ্বীপটির বৈশিষ্ট্য হলো এখানে সুখে নিশ্চিন্তে বসবাস করা যায় । স্পেনের পশ্চিমে এই দ্বীপটি অবস্থিত ছিল । কিন্তু বর্তমানে এই দ্বীপটির কোনো অস্তিত্বই নেই এটি এখন শুধুমাত্র রূপকথা তে পরিণত হয়েছে । মুকেশ আম্বানি এই বিল্ডিংটি ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ১৬ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করেছিল । দক্ষিণ মুম্বাইয়ের আল্টামাউন্ট রোডে অবস্থিত রয়েছে তার এই বিস্ময়কর বাড়িটি ।

২) এই বাড়িটি তৈরি হয়েছে প্রায় ৪৯ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গা নিয়ে প্রায় ৫৭০ ফুট পর বাড়ির ছাদ । এই বাড়িটির সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর ছাদ থেকে দেখা যায় গোটা মুম্বাই শহরকে। ২০১০ সালে এই বাড়িটি সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয় এটি তৈরি হয়েছিল প্রায় ৭ বছর ধরে ।

এই বাড়িটির উদ্বোধন করা হয়েছিল ২০১০ সালের ৫ ই ফেব্রুয়ারি । তবে এই বাড়িটি নিয়ে জনসমক্ষে খুব বেশি আলোচনা করে না আম্বানি কারণ এই বাড়িটি সম্পূর্ণই তার ব্যক্তিগত । আসলে এই বাড়িটি ছাড়াও অন্যান্য অনেক কাজে নিযুক্ত হয়েছেন আম্বানি পরিবার । যেমন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ তৈরি করা ১২ হাজার মানুষের বসবাস করার জন্য একটি মডেল টাউন নির্মাণ করা বিখ্যাত একটা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা এরকম অনেক কাজই তারা করেছেন এইসব ব্যাপারে জানার আগ্রহ বরং কম জনসাধারণের।

 

৩) আম্বানির এই বিস্ময়কর বাড়িটি হলো ২৭ তলা । কিন্তু ৫৭০ ফুট উচ্চতায় যেহেতু এর ছাদটি অবস্থিত স্বাভাবিকভাবে এটি ৪৫ তালা হওয়ার কথা।

৪) আম্বানির বাড়িটির আরো একটি বৈশিষ্ট্য হলো ইরশাদ এ অবস্থিত হেলিপ্যাড। তাই আম্বানি এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সবাই বাড়িটির উপরের দিকে থাকেন যাতায়াতের সুবিধার জন্য।
বাড়িটির ছাদে একটি মাত্র হেলিপ্যাড নয় তিন তিনটি টি হেলিপ্যাড অবস্থিত। এই বাড়িটিকে শীতল রাখার জন্য চার তলায় ঝুলন্ত বাগান তৈরি করা হয়েছে। একসঙ্গে ১১৬ টি গাড়ি থাকতে পারবে এরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে ছয় তলায় কার পারকিং এর জন্য । ৬০০ জনের এক বিশাল কর্মীবাহিনী এই বাড়িটি পরিচর্চার কাজ করেন ।

৫) এই বাড়িটির লিফট নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে যে সংস্থাটি রয়েছে সেটি পৃথিবীর এক নম্বর সংস্থা । এই সংস্থাটি বারাক ওবামার অফিসের লিফ্ট ও নিয়ন্ত্রণ করেন । মাত্র ছয় জন সদস্য তার পরিবারে রয়েছে । তার মা হলেন কলিলাবেন আম্বানি , তার দুই ছেলে আকাশ আম্বানি এবং অনন্ত আম্বানি এবং তার মেয়ে ইশা আম্বানি ও তার স্ত্রী নিতা আম্বানি।

৬) এই বাড়িতে ছয় তলায় ১৬৮ টি গাড়ি রাখা হয় । এই গ্যারেজে প্রায় ১০ কোটি টাকার গাড়ি ও রয়েছে । আম্বানি নিজের গাড়িটি সাত তলায় পার্ক করা থাকে। জাতি ১০ মিনিটে গাড়িটি রাস্তায় আসতে পারে ।

৭) বাড়িটির দশ তালাতে তৈরি করা আছে সুইমিং পুল ও সেলুন এবং স্পা । এছাড়াও ডান্স ক্লাস এবং যোগা ক্লাস সেখানে নিয়মিত গড়ে ওঠে । ১১ তালাতে পৃথিবীর এক নাম্বার মুভি থিয়েটার সংস্থা ৫০ সিটের একটি সিনেমা থিয়েটার তৈরি করে ।

 

৮) এই বাড়িতে হাউস বীমা এমনভাবে তৈরি করা দেড় মাসের মধ্যেই ভেঙে যাওয়া বাড়ি তৈরি করে যেতে পারবে । এমনিতে বাড়িটি এতটাই মজবুত যে বোমা বিস্ফোরণে ধ্বংস করা যাবে না ।

৯) তার স্ত্রী নিতা আম্বানির ঘর বলতে গেলে সবথেকে সুন্দর কারণ ওনার ঘর থেকে আরব সাগরের সবথেকে সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় । এই এই ২৭ তলার বাড়ি দিতে লিফটের সংখ্যা হল মাত্র ২১ টি । আমেরিকার বিখ্যাত পারকিনস এবং উইল এই বাড়িটির নকশা করেছেন । এবং বাড়িটি নির্মাণ করেছিল লেইটন হোল্ডিংস ।

১০) মাত্র দুজন নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া আর কেউ তাদের পরিবারের ফ্লোরে উঠতে পারে না। প্রতিদিন সকাল বেলাতে নতুন করে পাসওয়ার্ড সেট করা হয়ে থাকে প্রতিটা ফ্লোরে প্রবেশ করার জন্য। আর সেই পাসওয়ার্ডটি শুধুমাত্র তার বাড়িতে বসবাসকারী পরিবারের লোকজনই জেনে থাকে ।