• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মাওলানা উবায়দুল হক ছিলেন সত্যোচ্চারণে সাহসী কণ্ঠ : মুজিবুর রহমান মঞ্জু

sylhetsurma.com
প্রকাশিত অক্টোবর ৮, ২০২০
মাওলানা উবায়দুল হক ছিলেন সত্যোচ্চারণে সাহসী কণ্ঠ : মুজিবুর রহমান মঞ্জু

আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) মহাসচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, সমকালীন বাংলার মুসলমানদের জন্য মাওলানা উবায়দুল হক রহ. একটি স্মরণীয় নাম, সত্যোচ্চারণে একটি অপরিমেয় সাহসী কণ্ঠ। দ্বীনের উপর কোনো আঘাত এলে এই সহজ-সরল মানুষটি বজ্রকঠোর হয়ে দাঁড়াতেন। বুধবার (৭ অক্টোবর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে বায়দুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা উবায়দুল হক জালালাবাদী ( রহঃ) এর ১৩ তম মৃত্যু বার্ষিক উপলক্ষে জালালাবাদ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্মরনসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মাওলানা উবায়দুল হক সত্যভাষণে বেশ কৌশলী, বিজ্ঞ ও পারঙ্গম ছিলেন। যাকে যেভাবে বলা দরকার সংশ্লিষ্টদের সেভাবেই বলেছেন। মহান আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশে চরম বিনয়ী, রাসূলের সা. সুন্নাতের প্রতি অগাধ ভালোবাসা, দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কঠিন মুহূর্তে বেদনা ও দরদমাখা আকুতি; রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ও বজ্রকণ্ঠে কঠোর ও কঠিন হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন। জালালাবাদ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, পিএইচডি স্কলারশিপ গবেষক এহসানুল হক জসীম, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জু হোসেন ঈসা, বিশিস্ট আলেম মাওলানা নুল মোহাম্মদ, মাওলানা ইবরাহিম খলিল প্রমুখ। বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, খতিব মাওলানা উবায়দুল হক রহ. ছিলেন একজন খাঁটি দেশেপ্রেমিক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ। মজলুম ও নির্যাতিত অত্যাচারিতদের পক্ষে জালেমের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন আপসহীন। তিনি বলেন, মাওলানা উবায়দুল হক রহ. ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী আগ্রাসী শক্তির করাল গ্রাসে মুসলিম উম্মাহ্র জীবনস্পন্দন যখনই বিপন্ন হয়েছে তখনই তখনই কান্ডারী হয়ে এগিয়ে এসেছেন। তার স্পষ্ট দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠের বলিষ্ঠ ও সাহসী হুঙ্কারে জনসাধারণের মাঝে জজবা ও প্রেরণার সৃষ্টি হয়েছে। বিশিষ্ট সাংবাদিক এহসানুল হক জসীম বলেন, মাওলানা উবায়দুল হক রহ. ছিলেন বাংলাদশে হাতোগোণা কয়েকজন আলেমদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় একজন। তাঁর মতো মুহাদ্দিস, ফকীহ ও সময়ের চাহিদামাফিক কুরআন-হাদিসের ব্যাখ্যাদাতা-মুফাক্কির খুবই বিরল। তাঁর তূল্য সাধক আলেম বাংলার জনবহুল জমিনে আর কবে জন্মগ্রহণ করবে তা একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই ভালো জানেন। তিনি উপমহাদেশের বাইরেও আরব জাহানে, ইউরোপে এবং দূরপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে খতিব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, দেশের জাতীয় মসজিদের মিম্বার থেকে মাওলানা উবায়দুল হক সমসাময়িক বিষয়ে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে, ন্যায়, ইনসাফ ও মানবতার পক্ষে, জুলুম-নির্যাতন ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগ্রাসী অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতি জুমায় যে পথনির্দেশনা দিতেন তাঁর প্রভাব সারাদেশে প্রতিফলিত হতো। তাঁর বয়ানের তেজস্বিতা এত মজবুত ছিলো যে, মানুষের হৃদয়কে তা প্রবলভাবে নাড়া দিতো। সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার বলেন, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে মাওলানা উবায়দুল হক রহ. যে জোরালে বক্তব্য ও সুদৃঢ় নেতৃত্ব দিয়েছেন তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যে কোনো কঠিন সময়ে অকুতোভয় সৈনিকের মতো বীর মুজাহিদ হয়ে অমিত সাহস, পর্বতসম ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার সাথে এগিয়ে গেছেন।