• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

হলের রুমকে রাজপ্রসাদ বানালেন ২ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী!

sylhetsurma.com
প্রকাশিত আগস্ট ২৭, ২০১৬

সিলেট সুরমা ডেস্ক::::: নিজেদের সাজানো দুই বেডের পাশে বসে আছে লিন্দী গুডউইন এবং অ্যাবি বোজম্যান। হলের রুমকে রাজপ্রাসাদে পরিণত করেছেন মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিন্দী গুডউইন এবং অ্যাবি বোজম্যান। এখন তারা নোংরা ঘরটিকে বিলাসবহুল দামি ঘরের মতো তৈরি করে সেখানেই থাকছেন। সাজানো গোছানোর পর তারা নিজেদের রুমের ছবি তুলে টুইটারে প্রকাশ করেছেন। ছবিগুলো দেখে মনে হবে, এটি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের রুম নয়- দামি কোনো ফাইভস্টার হোটেলের রুম। দেয়ালে ঝোলানো হয়েছে দামি চিত্রকর্ম। যেন রুমের ঢুকেই সে চিত্রকর্মটির দিকে চোখ পড়ে, তাই দরজা থেকে সামনা সামনি রাখলেন ছবিটি। ছবিগুলো টুইটারে প্রকাশিত হওয়ার পর হাজার হাজার টুইটার ইউজার লাইক ও কমেন্ট করে তাদের উৎসাহ দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ তাদেরকে অনুসরণ করে নিজেদের রুমগুলো সাজানো শুরু করেছেন।
মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর লিন্দী গুডউইন এবং অ্যাবি বোজম্যানের পরিচয়। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। নিজেরা সিদ্ধান্ত নেন এবার তারা রুমমেট হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে জানিয়ে দুজন মিলে একটি রুম নেন। তারা ঠিক করেন, তাদের রুমকে অন্য সব রুমের মত করে রাখবেন না। এমন করে সাজাবেন যেন মনে না হয়, এটি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের রুম নয়; বিলাসবহুল কোনো হোটেলের রুম।
রুম সাজানোর পর রুমের ছবিটি টুইটারে পোস্ট করেন লিন্দী গুডউইন। ‍দুটি ছবি পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। একটি আগের রুম সাজানোর আগের ছবি আর একটি রুম সাজানোর পরের অবস্থার ছবি।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরের দিকে তারা রুম সাজানো শুরু করেন। রুমের দেয়ালে লাগালেন আকর্ষণীয় রঙ, যা খুব সহজে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ঘরে নিয়ে আসলেন দামিদামি আসবাবপত্র। রুমকে একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় কারার জন্য পুরোনো বিছানা বের করে দিয়ে নতুন বিছানা পাতলেন। বিছানার ‍মাথার কাছে সুন্দর ডিজাইনের নকশা ও রঙ ব্যবহার করলেন। বসার জন্য রাখলেন দুটি আকর্ষণীয় টুল। ঘরের রঙের কম্বিনেশনে আনলেন নতুনের ছাপ। মার্জিত রঙের ব্যবহারের কারণে সহজে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে রুমটি। ছবিতে ক্যামপাস সেরপা নামের একজন ইউজার কমেন্ট করেছেন- মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের আমার রুমটি তো একেবারেই বাজে। আপনারটা কবে সাজাবেন? কমেন্টে লিন্দী গুডউইন এবং অ্যাবি বোজম্যানের সাজানো রুমের ছবিটিও পোস্ট করেছেন।
দেয়ালে টানালেন দামি কোনো শিল্পীর আঁকা চিত্রকর্ম। যেন রুমের ঢুকেই সে চিত্রকর্মটির দিকে চোখ পড়ে, তাই দরজা থেকে সামনা-সামনি রাখলেন ছবিটি। আগের বালিশগুলো ফেলে দিয়ে যোগ করলেন নতুন নতুন বালিশ ও আকর্ষণীয় কভার। তবে তারা যে এই রুম সাজানোর পেছনে অনেক টাকা খরচ করেছে তা কিন্তু নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে টাকা তাদেরকে দেওয়া হয়, তার মধ্যেই সুন্দর করে সাজিয়েছেন রুমটি।
গ্রেস বেকন নামের এক ছাত্রী কমেন্ট করেছেন- হাই বাজফিড, মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের রুমটিও কিন্তু খুবই সুন্দর। আমাদের রুমটি নিয়ে কবে প্রতিবেদন লিখবেন?
লিন্দী গুডউইন এবং অ্যাবি বোজম্যানকে দেখে জুলিয়া লি অ্যাশলেও তার হলের রুমটিকে সাজিয়েছেন।
রুমটি সাজানো এতই সুন্দর হয়েছে যে, ওল্ড ট্রাই নামের এক হোটেল মালিক তার হোটেলরুমের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন তার হোটেল রুমও মিসিসিপি ইউনিভার্সিটির হলের রুমের মত সুন্দর।